কী কী কারণে দিব্যি সুস্থ ঝলমলে চুল কালক্রমে নিষ্প্রাণ ক্ষতিগ্রস্ত চুলে পরিণত হয় জানেন? রুটিন মেনে চুলের যথাযথ যত্ন না করলে, বাতাসের চড়া আর্দ্রতার কারণে, চুল নিয়মিত না আঁচড়ালে, অথবা স্বাভাবিক ঘন কোঁকড়া টেক্সচারের চুল থাকলে তা একসময় শুষ্ক প্রকৃতির হয়ে যেতে পারে। দীর্ঘদিন চুলের শুষ্কতার কোনও যত্ন না নিলে চুলের কিউটিকল খুলে যায় এবং চুল বিশ্রী জট পাকিয়ে যেতে শুরু করে। আর চুল না আঁচড়ে দিনের পর দিন খোঁপায় জড়িয়ে রাখলে চুল একদম নির্জীব আর ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে। এই ধরনের চুলে প্রাণ ফেরানো খুব দরকার। কীভাবে ফেরাবেন, তার জন্য রইল তিনটি ধাপের গাইডলাইন...

 

1. চুলে প্রাণ ফেরাতে শ্যাম্পু আর কন্ডিশনার

1. চুলে প্রাণ ফেরাতে শ্যাম্পু আর কন্ডিশনার

জট পাকানো চুল আঁচড়ানোর আগে প্রথমে ড্যামেজ রিপেয়ারিং শ্যাম্পু আর কন্ডিশনার/ repairing shampoo conditioner দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। জল লাগলে চুলের কিউটিকল খুলে যায়, আর কন্ডিশনার চুলের জট লাগা অংশগুলোকে নরম করে দেয়, ফলে সহজেই চুলের জট ছাড়ানো যায়, চুল উঠে যায় না। শ্যাম্পু করার সময় চুল যাতে পুষ্টি পায়, সে জন্য শক্তিশালী উপাদানযুক্ত হাইড্রেটিং ফরমুলার শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।

বিবি-র পছন্দ: টিজি কপিরাইট কাস্টম কেয়ার টিএম ময়শ্চার শ্যাম্পু অ্যান্ড কন্ডিশনার/ TIGI Copyright Custom Care™ Moisture Shampoo and Conditioner

 

2. ডিপ কন্ডিশনার লাগিয়ে জট ছাড়ান

2. ডিপ কন্ডিশনার লাগিয়ে জট ছাড়ান

চুল যদি শুষ্ক আর ক্ষতিগ্রস্ত/ dry and damaged হয়, তা হলে চুলের রুক্ষতা সামলাতে আপনার শ্যাম্পু আর কন্ডিশনারের চেয়ে আরও বেশি কিছু দরকার। এখানেই ভূমিকা ডিপ কন্ডিশনারের। ডিপ কন্ডিশনিং হেয়ার মাস্ক/ deep conditioning hair mask আপনার চুল আর্দ্র রাখে, সঙ্গে ক্ষতিও সারিয়ে তোলে। চুলের মাঝামাঝি অংশ থেকে (কানের লতি বরাবর অংশ থেকে) চুলের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত মাস্ক লাগান। এবার মোটা দাঁড়ার চিরুনি দিয়ে চুলের নিচ থেকে জট ছাড়াতে শুরু করুন, ধীরে ধীরে ওপরের অংশে উঠুন। চিরুনিতে 2-3 সেন্টিমিটারের বেশি চুল একসঙ্গে নেবেন না, তাতে ক্ষতি কম হবে। জট ছাড়ানোর পর আরও মিনিট পাঁচেক মাস্ক লাগিয়ে রাখুন, তারপর হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন।

বিবি-র পছন্দ: ডাভ ইনটেন্স ড্যামেজ রিপেয়ার হেয়ার মাস্ক/ Dove Intense Damage Repair Hair Mask

 

3. প্রোটিন সমৃদ্ধ সিরাম লাগান

3. প্রোটিন সমৃদ্ধ সিরাম লাগান

চুলের যত্নের রুটিনে একটা প্রোটিনের গুণওয়ালা সিরাম যোগ করলে চুলের ভেঙে যাওয়া বাঁধন ফের জোরদার হবে, চুলও ক্ষতি কাটিয়ে উঠবে। পাশাপাশি চুলে পাবেন মসৃণ, চকচকে, আকর্ষণীয় ফিনিশ। সিরাম লাগিয়ে সরু দাঁড়ার চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিন যাতে পুরো চুলে সিরাম ভালোভাবে লেগে যায়। এ ক্ষেত্রেও চুলের মাঝামাঝি অংশ থেকে শেষ প্রান্ত অবধি সিরাম লাগাবেন, আঁচড়ানোও শুরু করবেন চুলের নিচের দিক থেকে। সেরা ফল পেতে এর পর খোলা হাওয়ায় চুল শুকিয়ে নিন।