চুল রং করার আগে নানা প্রশ্ন মনে জাগাটা খুব স্বাভাবিক! কোন রংটা করাবেন? কোন কালার টেকনিকটা চুলের টেক্সচারের সঙ্গে সবচেয়ে মানানসই হবে? মাত্র একটা কালারিং সেশন করেই দারুণ মেকওভার পাওয়া যাবে কীভাবে? এমন অজস্র প্রশ্ন চুল রং করার আগে মাথায় ঘুরপাক খায়। কেমন লাগবে বলুন তো যদি বলি, এমন একটা হেয়ার কালারিং ট্রেন্ড আজকাল উঠে এসেছে যা একইসঙ্গে চুলে ডাইমেনশন, মুভমেন্ট আর ডেপথ এনে দেবে আর তার জন্য আপনাকে একগাদা মাথা ঘামাতেও হবে না? সালোন স্টাইলিস্টরা আজকাল রং না করা বা বেসিক রং করা চুলের ভোল পালটে দিতে একটি ফ্রি-হ্যান্ড পদ্ধতি ব্যবহার করছেন, যার নাম মাল্টি-ডাইমেনশনাল হেয়ার কালার। এই ট্রেন্ডের সবচেয়ে ভালো দিক হল, আপনার মুখের সঙ্গে সবচেয়ে মানানসই করতে কোন রং কোথায় কতটা করা হবে, তা ঠিক করতে হবে আপনার স্টাইলিস্টকেই! আর এই একটা ব্যাপারের দায়িত্ব নিজেকে নিতে না হলেই চাপ অনেকটা কমে যায়, তাই না?

 

মাল্টি-ডাইমেনশনাল হেয়ার কালার ঠিক কেমন দেখতে?

মাল্টি-ডাইমেনশনাল হেয়ার কালার ঠিক কেমন দেখতে?

Image courtesy: @hairstylist.madison

সহজ কথায় বলতে গেলে মাল্টি-ডাইমেনশনাল হেয়ার কালারে একই গোত্রের রঙের হালকা আর গাঢ় শেড নিয়ে খেলা হয়। যেমন আপনার স্বাভাবিক ব্রাউন শেডের চুলের গ্ল্যামার আরও বাড়িয়ে তুলতে চাইলে আপনার স্টাইলিস্ট হালকা চেস্টনাট ব্রাউন আর গাঢ় কপার শেড দিয়ে মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করে ঘন হাইলাইট বা হালকা ছিমছাম লাইট করতে পারেন। হালকা শেডের রং যদি মুখের কাছে থাকে, তা হলে আপনার মুখের রং উজ্জ্বল দেখাবে! দারুণ, তাই না?

 

মাল্টি-ডাইমেনশনাল হেয়ার কালারের সুবিধা

মাল্টি-ডাইমেনশনাল হেয়ার কালারের সুবিধা

Image courtesy: @un.rooted

 

মাল্টি-ডাইমেনশনাল হেয়ার কালার শুনতে দারুণ লাগছে ঠিকই, কিন্তু এমন একটা পদ্ধতিতে চুল রং করার সুবিধেগুলো কী কী? বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে শুনে নিন এই হেয়ার কালার ট্রেন্ডের কিছু সুবিধে:

1. এই কালার ট্রেন্ড আপনার চুলের বেস কালার সম্পূর্ণ পালটায় না, বরং হালকা আর গাঢ় টোনের সমাহারে তাকে আরও ফুটিয়ে তোলে। তাই আপনার চুলের স্বাভাবিক রং বজায় রেখে যদি আরও রং করতে চান, তা হলে এই ট্রেন্ড আপনারই জন্য।

2. ওয়েভি আর কার্লি চিলে থ্রিডি এফেক্ট আনতে মাল্টি-ডাইমেনশনাল কালার ব্যবহার করা যায়। একগাদা খরচ না করেও যদি চুলে দামি রং করানোর ভাব আনতে চান, তা হলে এই পরিষেবা আপনার জন্য আদর্শ!

3. মাল্টি-ডাইমেনশনাল হেয়ার কালারিং চুলের কন্ট্যুরিংয়ের মতো কাজ করে। চুলের নিচের দিকে যদি বাড়তি ভল্যুম আনতে চান, বা মাথার ওপরের অংশে ভল্যুম কমাতে চান, এই পদ্ধতি কাজে লাগাতে পারেন।

মূল ফোটো সৌজন্য: @nicolescherzinger