একটা কথা প্রথমেই বুঝে নেওয়া দরকার: ডার্ক সার্কল ব্যাপারটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। সেলিব্রিটি থেকে শুরু করে যে কারওরই ডার্ক সার্কল হতে পারে, এবং তার কয়েকটা কারণ রয়েছে, যেমন ঘুমের অভাব, জিনঘটিত কারণ ইত্যাদি। অন্যদিকে যাঁদের ব্রণর সমস্যা রয়েছে তাঁদের মুখেও কালো দাগ দেখা যায়। ব্রণ খোঁটার অভ্যেস এই কালো দাগের একটা কারণ। কিন্তু এই সমস্যারও সমাধান রয়েছে। তার জন্য একদিকে যেমন প্রতি রাতে আটঘণ্টা নিশ্চিন্তে ঘুমোনোর ব্যাপারটা নিশ্চিত করতে হবে, তেমনি ব্রণ খোঁটার অভ্যেস থেকেও বেরিয়ে আসতে হবে। কিন্তু এই দুটিই দীর্ঘমেয়াদি সমাধান। চটজলদি কিছু করতে চাইলে তারও অবশ্য উপায় আছে। আমরা ভাগ করে নিলাম সেরকমই কিছু উপায় যা আপনাকে ডার্ক সার্কল আর কালো দাগছোপ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে।
- ধাপ #1: চোখে বরফ লাগান
- ধাপ #2: কালার কারেকশন দরকার
- ধাপ #3: বেস সেট করে নিন
- ধাপ #4: কনসিলার লাগান
- ধাপ #5: লক করে দিন
ধাপ #1: চোখে বরফ লাগান

কনসিলার লাগানোর আগে চোখের নিচের অংশের ফোলাভাব কমানোর জন্য আইস প্যাক লাগান। আইস প্যাক লাগালে শিরা আর রক্তজালকগুলো সংকুচিত হয় এবং ওই অংশে জমে যাওয়া তরল বেরিয়ে যায়। আইস প্যাক না থাকলে বরফঠান্ডা জলে একটা চামচ ডুবিয়ে ব্যবহার করতে পারেন, অথবা ফ্রিজারে চামচ রেখে ঠান্ডা করে সেটাও লাগাতে পারেন। ফ্রিজারে চামচ রাখলে বের করে সঙ্গে সঙ্গে চোখে লাগাবেন না, আগে স্বাভাবিক তাপমাত্রার জলে কিছুক্ষণ রেখে তবেই লাগান।
ধাপ #2: কালার কারেকশন দরকার

কালো দাগছোপ আর ডার্ক সার্কল ঢাকতে কালার কারেক্টর যেন ভগবানের আশীর্বাদের মতো! কালার কারেক্টর কালার হুইলের নিয়ম অনুসরণ করে, অর্থাৎ যে সব রঙ পরস্পরের উল্টোদিকে অবস্থান করে তারা পরস্পরকে নাকচ করে দেয়। যেমন গ্রিন কালার কারেক্টর ত্বকের লালচেভাব কমিয়ে দেয়, আবার পিচ বা কমলা কালার কারেক্টর পার্পলের শেড কাটিয়ে চোখের নিচের কালির মোকাবিলা করে।
ধাপ #3: বেস সেট করে নিন

মুখের কালো দাগ আর ডার্ক সার্কল কালার কারেক্টর দিয়ে ঢেকে দেওয়ার পর মুখের রং মসৃণ আর সমান করতে বেছে নিন মিডিয়াম থেকে ফুল কভারেজের ফাউন্ডেশন। মসৃণ ফিনিশের জন্য ফাউন্ডেশন ব্লেন্ড করতে ব্যবহার করুন ভেজা বিউটি স্পঞ্জ। ল্যাকমে নাইন টু ফাইভ প্রাইমার+ম্যাট পারফেক্ট কভার ফাউন্ডেশন Lakmé 9to5 Primer + Matte Perfect Cover Foundation আপনাকে মিডিয়াম থেকে হাই কভারেজ দেবে, আর আপনি পেয়ে যাবেন নিখুঁত লুক।
ধাপ #4: কনসিলার লাগান

মুখের ত্রুটি ঢাকতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে কনসিলার। ফাউন্ডেশন লাগানো হয়ে গেলে বাড়তি কভারেজের জন্য বেছে নিন ল্যাকমে নাইন টু ফাইভ প্রাইমার+ম্যাট লিকুইড কনসিলার Lakmé 9to5 Primer +Matte Liquid Concealer -এর মতো ফুল কভারেজ কনসিলার। ত্বকের রঙের সঙ্গে মানানসই শেড ব্যবহার করুন। চোখের নিচের অংশ হাইলাইট করে মুখে লিফট পেতে ত্বকের রঙের চেয়ে এক-দু' শেড হালকা কনসিলারও বেছে নিতে পারেন। সঠিক আন্ডারটোন বাছুন, যাতে মুখ সাদা না দেখায়।
ধাপ #5: লক করে দিন

এবার পুরো লুকটা পাউডার দিয়ে সিল করে দেওয়ার পালা। ল্যাকমে নাইন টু ফাইভ ন্যাচারাল ফিনিশিং পাউডার Lakmé 9to5 Naturale Finishing Powder -এর মতো ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার দিয়ে বেস সেট করুন যাতে তা দিনভর ঠিক থাকে। অ্যালো ভেরা আর গ্রিন টি-র নির্যাসযুক্ত এই পাউডারটি আপনার ত্বক মসৃণ করে তোলে, আর একটা নিখুঁত ম্যাট বেস তৈরি করে দেয়।
Written by Manisha Dasgupta on Feb 08, 2022
Author at BeBeautiful.