মাসাজের ক্ষমতা যে অনেক, সে কথা যে কেউ স্বীকার করবেন! মন আর শরীর, দুইয়েরই আরাম হয় মাসাজে আর সে জন্যই মাসাজের মাঝখানে অনেকেই ঘুমিয়ে পড়েন। সারা সপ্তাহের ক্লান্তি ধুয়েমুছে দেয় মাথা, ঘাড়, পিঠ আর পায়ের মাসাজ। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন ফেসিয়াল মাসাজ, অর্থাৎ মুখ মাসাজ করার কথা?

সারা শরীরের মতোই আপনার মুখের পেশিগুলোরও বিশ্রাম দরকার। সে জন্য প্রতিদিন কিছুক্ষণ ফেস মাসাজ করলে ত্বকেরও উপকার হয়। জেনে নিন প্রতিদিন মুখ মাসাজ করলে তার কী কী সুবিধে আপনি পাবেন।

 

01. রক্ত সংবহন বাড়িয়ে তোলে

01. রক্ত সংবহন বাড়িয়ে তোলে

যে কোনও ধরনের ফেসিয়াল মাসাজ করলে মুখে রক্ত আর অক্সিজেন সংবহন উন্নত হয়। বাড়তি অক্সিজেন চোখের নিচের ফোলাভাব কমায়, ত্বকের রং উজ্জ্বল করে তোলে, ত্বক ডিটক্স করে। উন্নত অক্সিজেন সংবহনের ফলে কোলাজেন তৈরি হয় বেশি করে, আর আপনি পেয়ে যান তারুণ্যের জেল্লায় ভরপুর স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বক। এখানে/ Here’s দেখে নিন কীভাবে চটজলদি একটা ফেস মাসাজ দেবেন নিজেকে।

 

02. স্বাভাবিক ফেস লিফট

02. স্বাভাবিক ফেস লিফট

ত্বক নরম আর মসৃণ রাখতে যদি অ্যান্টি-এজিং ক্রিম মাখা শুরু করে থাকেন, তা হলে তার সঙ্গে একটা চটজলদি ফেস মাসাজের অভ্যেসও আপনার রূপচর্চার রুটিনে যোগ করে নিন। নিয়মিত মাসাজ করলে মুখের পেশিগুলো টোনড হয়, মুখ একটা স্বাভাবিক লিফট পায়। হাত দিয়ে মাসাজ করতে না চাইলে জেড রোলার ব্যবহার করুন। জেড রোলার ব্যবহার করা সহজ, আর কাজও দেয় দারুণ! এখানে/ Here’s দেখে নিন কীভাবে জেড রোলার ব্যবহার করলে সবচেয়ে ভালো ফল পাবেন আপনি।

 

03. স্কিনকেয়ার প্রডাক্ট ত্বকে ভালোভাবে শোষিত হয়

03. স্কিনকেয়ার প্রডাক্ট ত্বকে ভালোভাবে শোষিত হয়

সবচেয়ে দামি আর সবচেয়ে ভালো স্কিনকেয়ার প্রডাক্ট ব্যবহার করলেই যে দারুণ ফল পাবেন, তা নাও হতে পারে। প্রডাক্ট ত্বকে ভালোভাবে শোষিত না হলে ঠিকমতো কাজ দেয় না। মুখ মাসাজ করলে স্কিনকেয়ার প্রডাক্ট ত্বকে ভালোভাবে মিশে যায়। প্রতি রাতে মুখ মাসাজ করতে পারেন, বা সকালে ত্বক পরিচর্যার সময় ক্রিম বা ময়শ্চারাইজার মাখার আগেও মাসাজ করে নিতে পারেন।

 

04. টক্সিন বেরিয়ে যায়

04. টক্সিন বেরিয়ে যায়

দূষণ, তেলময়লা, পরিবেশের নানা ক্ষতিকর উপাদানের কারণে ত্বকের রোমছিদ্রে টক্সিন জমে যেতে পারে। তাতে একদিকে যেমন মুখে ব্রণ বেরোয়, তেমনি ত্বকে সূক্ষ্ম রেখা আর ফোলাভাবও দেখা দিতে পারে। নিয়মিত ফেসিয়াল মাসাজ করলে ত্বকের গভীরে জমে থাকা টক্সিন লিম্ফেটিক ড্রেনেজের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়, ফলে প্রতিদিন ত্বক হয়ে ওঠে সুস্থ আর তরতাজা।

 

05. টেনশন কমায়

05. টেনশন কমায়

ক্লান্তি আর মানসিক চাপ আপনার মুখের পেশিগুলোকে শক্ত করে রাখে। ফলে এক সময় কপালে আর চোখের চারপাশে বলিরেখা তৈরি হয়ে যায়। প্রতিদিন মুখ মাসাজ করলে মুখের ক্লান্তি দূর হয় এবং সূক্ষ্ম রেখা আর তৈরি হতে পারে না। মুখের ক্লান্তি কাটাতে, বলিরেখা কমাতে ওপরের দিকে স্ট্রোক করে মুখ মাসাজ করুন। মুখের পেশির ক্লান্তি কমবে, উধাও হবে বলিরেখা।