একটানা চলতে থাকা লকডাউন ত্বক পরিচর্যা সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিটাই পালটে দিয়েছে। পার্লার বা স্পায়ে গিয়ে যেহেতু পেশাদার পরিচর্যা পাওয়া এই মুহূর্তে সম্ভব নয়, তাই ত্বকের দেখভালের দায়িত্বটা নিতে হবে নিজেকেই। ব্যাপারটা খুব সহজ নয় কারণ একদিকে লকডাউনের স্ট্রেস, অন্যদিকে একদম বদলে যাওয়া রুটিন, এই দুইয়েরই খেসারত দিতে হচ্ছে ত্বককে। রোদের ক্ষতি থেকে শুরু করে ত্বকের শুষ্কভাব, ক্লান্তি, সব মিলিয়ে কোয়ারান্টাইন থাকার দিনকালগুলো ত্বকের পক্ষে যথেষ্টই চ্যালেঞ্জিং। আর চট করে যেহেতু পার্লারে যেতে পারছেন না, কবে পারবেন তারও ঠিক নেই, তাই ত্বকের নানা সমস্যায় আপনার ভরসা হয়ে উঠতে পারে ঘরোয়া উপাদান।

প্রথমেই বলে দেওয়া দরকার, ঘরোয়া চিকিৎসায় ফল পেতে একটু সময় লাগতে পারে। তবে ভালো গুণমানের প্রডাক্ট মাখার পাশাপাশি যদি ঘরোয়া পদ্ধতি কাজে লাগান, তা হলে মনের মতো ফল যেমন পাবেন, তেমনি ত্বকও সুস্থ থাকবে। লকডাউনে ত্বকের সমস্যার সমাধান করতে রইল কিছু প্রাকৃতিক টোটকার হদিশ...

 

ত্বকের শুষ্কতা কমাতে অ্যালো ভেরা

ত্বকের শুষ্কতা কমাতে অ্যালো ভেরা

শুষ্ক ত্বকে জলের অভাব থাকে। একটানা স্ট্রেস আর তার সঙ্গে জল কম খেলে ত্বকের লিপিড আস্তরণ ভেঙে যায়, ফলে ত্বক আরও বেশি জলশূন্য হয়ে পড়ে। শুষ্ক ত্বক দেখতে বিবর্ণ, ক্লান্ত দেখায়, বলিরেখা পড়ে সহজেই, তার সঙ্গে চুলকানি, ত্বকে ছোপছোপ দাগ পড়ার সমস্যাও দেখা দেয়। এই সমস্যা কমাতে মুখে মাখুন টাটকা অ্যালো ভেরার জেল। কোমল ফর্মুলায় তৈরি সিম্পল কাইন্ড টু স্কিন রিফ্রেশিং ফেসিয়াল ওয়াশ/ Simple Kind To Skin Refreshing Facial Wash দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন, তোয়ালে দিয়ে চেপে মুখ মুছে নিন, তারপর অ্যালো ভেরা জেল লাগান। দিনে দু'বার লাগালে দারুণ ফল পাবেন।

 

এক্সফোলিয়েট করুন নুন দিয়ে

এক্সফোলিয়েট করুন নুন দিয়ে

লকডাউন হোক বা না হোক, মুখের যত্ন করতে গিয়ে আমরা শরীরের বাকি অংশের ত্বককে অবহেলা করে বসি। আপনার ত্বক পরিচর্যার রুটিনের জরুরি ধাপ হল এক্সফোলিয়েশন। কারণ ত্বকের ওপরে মৃত কোষ জমতে থাকলে তা থেকে শুষ্কভাব, অমসৃণ ত্বক, ইনগ্রোন হেয়ারের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে, এবং ত্বক সার্বিকভাবেই নিষ্প্রাণ দেখায়। পিয়ার্স ন্যাচারাল ব্রাইটেনিং পোমেগ্রেনেট বডি ওয়াশ/ Pears Naturale Brightening Pomegranate Body Wash -এর মধ্যে খানিকটা এপসম সল্ট মিশিয়ে নিয়ে শরীর এক্সফোলিয়েট করুন। স্নান করে নিলেই দেখবেন কেমন তরতাজা লাগছে!

 

মুখের দাগ কমাতে টি ট্রি অয়েল

মুখের দাগ কমাতে টি ট্রি অয়েল

ত্বকে হঠাৎ কোনও সমস্যা দেখা দিলে তার চটজলদি ওষুধ হল টি ট্রি অয়েল। টি ট্রি অয়েলের অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণ রয়েছে যা ব্রণ এবং ইনফেকশন সমেত ত্বকের একগুচ্ছ সমস্যার সমাধান করতে পারে। মুখে তেল সরাসরি মাসাজ করুন, বা ল্যাকমে নাইন টু ফাইভ ম্যাট ময়েস্ট ক্লে ফেস মাস্ক/ Lakmé 9 to 5 Matte Moist Clay Face Mask -এর সঙ্গে কয়েকফোঁটা মিশিয়ে ব্যবহার করুন। মাস্ক আরও বেশি ফলদায়ী হয়ে উঠবে।

 

ত্বক উজ্জীবিত করতে কফির গুঁড়ো

ত্বক উজ্জীবিত করতে কফির গুঁড়ো

ফিলটার কফি তৈরির পর কফির গুঁড়োটা ফেলে দেবেন না। অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে মাখুন আর দেখুন ত্বক কেমন চনমনে সজীব হয়ে ওঠে! কফির যৌগ ত্বকে সেলুলাইট জমতে দেয় না, ব্রণ কমায়, ডার্ক সার্কলও রুখে দিতে পারে। কফি আর অলিভ অয়েলের মিশ্রণটা মুখে হালকা চেপে চেপে লাগিয়ে দিন, তবে ঘষবেন না। 15 মিনিট রাখুন, তারপর হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন। এরপর মুখে কোনও একটা শিট মাস্ক লাগান। পন্ড'স হাইড্রেটিং ডিউয়ি র‍্যাডিয়্যান্ট স্কিন/ Pond’s Hydrating Dewy Radiant Skin -এর মতো হাইড্রেটিং ফর্মুলার শিট মাস্ক লাগালেই ভালো, কারণ কফির কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে শিট মাস্ক তা ঠিক করে দেবে।

 

রোদজনিত ক্ষতি রুখতে গ্রিন টি

রোদজনিত ক্ষতি রুখতে গ্রিন টি

বাড়িতে থাকছেন বলে কি সানস্ক্রিন মাখা বাদ দিয়ে দিয়েছেন? তা হলে কিন্তু মুখে সানস্পট বা হাইপারপিগমেন্টেশন শুরু হয়ে যাওয়ার কথা! সবুজ চা পাতা গুঁড়ো করে নিয়ে তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে মুখে লাগালে রোদ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত শুষ্ক ত্বক বাঁচবে। সানস্পট আবছা করতে গ্রিন টি ব্যাগও ব্যবহার করতে পারেন। তবে যাই করুন না কেন, প্রতিদিন সানস্ক্রিন মাখতে ভুলবেন না। হালকা ফর্মুলার ল্যাকমে সান এক্সপার্ট এসপিএফ 30 আলট্রা ম্যাট লোশন/ Lakmé Sun Expert SPF 30 Ultra Matte Lotion.