আপনার ত্বক কিন্তু কখনওই বিশ্রাম পায় না। এমনকী আপনি যখন ঘুমোন, তখনও সে কাজ করে যায় আর সারা রাত ধরে নিজের মেরামতিতে ব্যস্ত থাকে। তাই আপনিও তো তাকে সবরকমভাবে সাহায্য করতেই পারেন, যাতে আপনার ঘুমের সময়টুকুতে তার নিজস্ব চাহিদা মেটে আর আপনি যখন ঘুম থেকে ওঠেন, তখন আপনাকে লাগে তরতাজা আর নিশ্চিন্ত? যদি ত্বক নিটোল আর ঝলমলে রাখতে চান তা হলে ঘুমের সময়টায় মেনে চলুন কিছু বিশেষ নিয়ম।

 

আপনার চুল আর ত্বকের জন্য সাটিন আর সিল্কের তৈরি বালিশের ওয়াড় অনেক ভালো

আপনার চুল আর ত্বকের জন্য সাটিন আর সিল্কের তৈরি বালিশের ওয়াড় অনেক ভালো

সাটিন বা সিল্কের তৈরি বালিশের ওয়াড় ব্যবহার করলে চুলে জট পড়ার আশঙ্কা কমে যায় অনেকটাই আর ত্বকে ভাঁজ পড়ার সম্ভাবনাও কমে যায়। সাটিন বা সিল্কের সুতোর মসৃণতা আপনার চুলের গুছিগুলির পারস্পরিক ঘর্ষণ কমায় আর ত্বকের পক্ষেও এটি অত্যন্ত মোলায়েম। ফলে ত্বক সূক্ষ্ম বলিরেখা বা কুঞ্চনের অবাঞ্ছিত উপস্থিতি থেকে মুক্তি পায়।

 

আপনি কোন ভঙ্গিতে ঘুমোচ্ছেন, তার ওপরে অনেক কিছু নির্ভর করে

আপনি কোন ভঙ্গিতে ঘুমোচ্ছেন, তার ওপরে অনেক কিছু নির্ভর করে

চেষ্টা করুন চিত হয়ে শুয়ে ঘুমোতে, দুটো বালিশ একটার উপরে আর একটা রেখে। যখন পাশ ফিরে বা উপুড় হয়ে শুয়ে ঘুমোন, আপনার মুখের ত্বক কুঞ্চিত হয় আর এর ফলে অনেক সময়েই স্থায়ী আর সূক্ষ্ম বলিরেখা দেখা দিতে পারে। ঘুমোনোর সময়ে মাথা যদি শরীরের তুলনায় খানিকটা উপরে উঠে থাকে, তা হলে ঘুম ভাঙার পরে চোখের চারপাশে ফোলাভাব থাকবে না ।

 

নাইট ক্রিম ব্যবহার করতে ভুলবেন না

নাইট ক্রিম ব্যবহার করতে ভুলবেন না

বয়স কুড়ির কোঠার মাঝামাঝি জায়গায় পৌঁছে গেলেই কিন্তু অ্যান্টি-এজিং স্কিন কেয়ার খুব জরুরি। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভালো গুণমানের নাইট ক্রিম অবশ্যই ব্যবহার করা অভ্যেস করুন, কারণ আপনার ত্বক ওই ক্রিমে উপস্থিত সব ক’টি পুষ্টি-উপাদান ব্যবহার করে সারা রাত ধরে আপনার ত্বকের মেরামতে ব্যস্ত থাকে। হ্যালিউরনিক অ্যাসিডযুক্ত নাইট সিরাম বা ক্রিম ব্যবহার করুন, যা আপনার ত্বকে প্রয়োজনীয় জলীয় উপাদান সরবরাহ করে আর সূক্ষ্ম বলিরেখা কমায়।

 

বালিশের ওয়াড় নিয়মিত বদলে ফেলুন

বালিশের ওয়াড় নিয়মিত বদলে ফেলুন

যতই নাইট ক্রিম আর সিরাম ব্যবহার করুন না কেন, যদি অপরিচ্ছন্ন বালিশের ওয়াড়ে মাথা রেখে ঘুমোন, আপনার যাবতীয় উদ্যোগ আর পরিশ্রম কিন্তু মাঠে মারা যাবে। যদি বাড়িতে বাচ্চা বা পোষা জীবজন্তু থাকে, অতি অবশ্যই কয়েকদিন পরে পরেই নিয়ম করে বালিশের ওয়াড় বদলান।

 

ঘুমোতে যাওয়ার আগে বেশি নুন দেওয়া খাবার খাবেন না বা মদ্যপান করবেন না

ঘুমোতে যাওয়ার আগে  বেশি নুন দেওয়া খাবার খাবেন না বা মদ্যপান করবেন না

বেশি নুন খেলে শরীরে জল জমে যেতে পারে, তখন আপনার চোখের ফোলা ভাব দেখা যায়। অতিরিক্ত মদ্যপান করলেও শরীরে জলের পরিমাণ কমে যায়, ফলে চোখের নিচের অংশ স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি কালচে লাগে। তাই ঘুমোনোর আগে এইসব কুঅভ্যাস এড়িয়ে চলুন।

ছবি সৌজন্য : Pinterest