এ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি আমরা প্রত্যেকেই! সকালে অফিসে জরুরি মিটিং, বেরোতে দেরি, এদিকে রোজকার মুখে মাখার ময়শ্চারাইজারটা গতকালই চেঁছেপুঁছে শেষ! নতুন যে একটা কিনবেন, তেমন বাড়তি পয়সাও এই মুহূর্তে হাতে নেই, আবার মুখে ময়শ্চারাইজার না মেখে বাড়ির বাইরে পা দেওয়াও যাবে না! এরকম ক্ষেত্রে আমরা বেশিরভাগ যেটা করে থাকি, তা হল বডি লোশনটাই ময়শ্চারাইজারের মতো করে মুখে মেখে নেওয়া। দ্বিতীয়বার ভাবার প্রশ্নই নেই, কয়েক ফোঁটা পছন্দের বডি লোশন মুখে ঘষে নিলেন, ব্যস, কাজ শেষ... কিন্তু এরকম করা কি ঠিক? এমনিতে বডি লোশন আর মুখে মাখার ময়শ্চারাইজার বদলাবদলি করে মাখাটা তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু মনে না হলেও আদর্শ স্কিনকেয়ারের উপযুক্ত কাজ এটা নয়। এক-আধবার ময়শ্চারাইজারের বদলে বডি লোশন মুখে মেখে নেওয়া যেতে পারে, কিন্তু শেষ কথাটা হল: মুখের ময়শ্চারাইজার হিসেবে বডি লোশন মাখা একেবারেই উচিত নয়। জেনে নিন কেন!

 

01. মুখের ত্বক অনেক বেশি পাতলা আর স্পর্শকাতর

01. মুখের ত্বক অনেক বেশি পাতলা আর স্পর্শকাতর

একদম গোড়া থেকেই শুরু করা যাক। মুখের ত্বকের সঙ্গে সারা শরীরের ত্বকের তফাৎ আছে। শরীরের বাকি অংশের ত্বক অনেক পুরু এবং তাতে সহজে প্রতিক্রিয়া হয় না। অন্যদিকে মুখের ত্বক পাতলা ও স্পর্শকাতর। তা ছাড়া মুখ রোদ, দূষণের মতো পরিবেশের ক্ষতিকর উপাদানের সংস্রবে থাকে অনেক বেশি, ফলে মুখের দরকার বিশেষ যত্ন যা রোজকার সাধারণ বডি লোশন জোগান দিতে পারে না। মুখে মাখার ময়শ্চারাইজার আপনি কেনেন তার কারণ এটি শুধু বিশেষ ফর্মুলায় ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য তৈরি, কিন্তু বডি লোশন তৈরি হয় গড়পড়তা যে কোনও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য।

 

02. ফর্মুলাই আসল কথা

02. ফর্মুলাই আসল কথা

বিশেষ ফর্মুলার কথাই যখন উঠল, তখন জানানো যাক, ফেস ক্রিমে নানারকম সক্রিয় উপাদান থাকে যা ত্বকের বিশেষ প্রয়োজনগুলো মেটায়। আপনার তেলতেলে ত্বক হলে এমন ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে যাতে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড থাকে। শুষ্ক ত্বক হলে আপনার প্রয়োজনীয় উপাদান হ্যালুরনিক অ্যাসিড। ফেসিয়াল ময়শ্চারাইজারে ত্বকের ধরনের উপযোগী বিশেষ উপাদান থাকে এবং তা ত্বকের বিশেষ প্রয়োজন পূরণের জন্য তৈরি হয়। ফেসিয়াল ময়শ্চারাইজার ঘনত্বের দিক থেকে অনেক হালকা, ফলে সক্রিয় উপাদান মুখে লাগানো যায়। অন্যদিকে বডি লোশনে তৈলাক্ত উপাদান থাকে যা ত্বক আর্দ্র রাখলেও মুখের ত্বকের পক্ষে খুব ভারী। তা ছাড়া বেশিরভাগ বডি লোশনে কৃত্রিম সুগন্ধ থাকে, ফলে মুখের ত্বকের পক্ষে, বিশেষ করে চোখের নিচের কোমল ত্বকের জন্য তা একেবারেই ঠিক নয়।

 

03. ঘন ফর্মুলা রোমছিদ্র বন্ধ করে দেয়

03. ঘন ফর্মুলা রোমছিদ্র বন্ধ করে দেয়

মুখের ময়শ্চারাইজারের চেয়ে বডি লোশন অনেক ঘন আর তৈলাক্ত, ফলে ত্বকে চট করে শুষে যায় না। এ জন্য রোমছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়। আর রোমছিদ্র বন্ধ মানেই ব্ল্যাকহেড, হোয়াইটহেড, ব্রণর উৎপাত।

 

04. ত্বকে প্রতিক্রিয়া হতে পারে

04. ত্বকে প্রতিক্রিয়া হতে পারে

ত্বকে কোনও সমস্যা থাকলে বা ত্বক স্পর্শকাতর হলে বডি লোশন ঠিকমতো কাজ করবে না। ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি করা ছাড়াও বডি লোশন থেকে ত্বকে অ্যালার্জি হতে পারে, এগজিমা বা সোরিয়াসিসের সমস্যা থাকলে তা বেড়ে যেতে পারে। যদি ভাবেন হ্যান্ড ক্রিমটাই ময়শ্চারাইজারের মতো মুখে মাখবেন, তা হলে জেনে রাখুন, হ্যান্ড ক্রিম বডি লোশনের চেয়েও ঘন আর এ থেকে মুখে আরও বিশ্রীভাবে ব্রণ বেরোতে পারে। কাজেই নিজের বিশ্বাসী ফেসিয়াল ময়শ্চারাইজারটাই মাখুন, আর ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই কিনে রাখুন নতুন প্যাক! শশশশ... চুপিচুপি জিজ্ঞেস করি, এমন কোনও সস্তার ফেসিয়াল ময়শ্চারাইজার খুঁজছেন যা মুখের ত্বক সুস্থ আর আর্দ্র রাখবে? তা হলে নিশ্চিন্তে বেছে নিন সিম্পল কাইন্ড টু স্কিন হাইড্রেটিং লাইট ময়শ্চারাইজার/ Simple Kind To Skin Hydrating Light Moisturiser । হাইড্রেটিং লাইটওয়েট এই ময়শ্চারাইজারটি যে কোনও ত্বকে কাজ করে - হ্যাঁ, সেনসিটিভ ত্বকের জন্যও এটি মানানসই। এই নন-গ্রিজি, নন-কমেডোজেনিক ময়শ্চারাইজারটি আপনার ত্বক আর্দ্র আর কোমল রাখবে দিনভর!