সারা সপ্তাহের হাড়ভাঙা খাটনির পর সপ্তাহান্তে শরীর চায় একটা রিল্যাক্সিং ফুল বডি মাসাজ! আগামী দিনের পরিশ্রম সামাল দেওয়ার মতো এনার্জি শরীরে ভরে নিতে মাসাজের বিকল্প নেই। বেশিরভাগ মেয়েই স্পা থেরাপি পছন্দ করেন, যাতে প্রতিটি ইন্দ্রিয় চনমনে হয়ে ওঠে, প্রতিটি পেশিতে ছড়িয়ে যায় আরামের অনুভূতি। আর তার সঙ্গে পাওয়া যায় একটা সার্বিক ভালো লাগার বোধ। ঠিকমতো মাসাজে শুধু যে শরীর থেকে ক্লান্তি দূর হয় তাই নয়, এর ফলে ত্বক নরম আর কোমল হয়, রক্ত সংবহনও উন্নত হয়ে ওঠে।
শুধু শরীরে নয়, মুখের পেশির উপরেও একইভাবে কাজ করে মাসাজ। প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে আমাদের মুখে যে সব অভিব্যক্তি ফুটে ওঠে, তার ফলে কপালের দু'পাশ, কপাল, চোখ এবং চোয়ালের পেশিতে চাপ পড়তে পারে এবং এ সব জায়গায় রক্ত সংবহনে সমস্যা তৈরি হতে পারে। নিজে নিজে ঘরোয়া মাসাজ করলে ত্বকের ডিটক্স হয়, মুখ থেকে বয়সের দাগ কমে আসে এবং ত্বক পরিচর্যার উপাদানগুলোও ত্বকে আরও ভালোভাবে শোষিত হয়।
চোয়াল

- দু' হাত মুঠো করুন, আঙুলের গাঁটগুলো চিবুকের নিচে রাখুন।
- কানের দিক বরাবর মাসাজ করুন, কানের ঠিক নিচে এসে থেমে যান।
- হাতের মুঠো চোয়ালের হাড় বরাবর ওপর নিচ করুন, 10 থেকে 30বার।
উপকারিতা: চোয়ালের আশপাশের অংশ ভারী লাগছে? তা হলে এভাবে ফেসিয়াল মাসাজ করলে পেশি হালকা হবে। মাসাজ ভালো করে করার জন্য যে কোনও ফেসিয়াল অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
কপাল

- দশ আঙুল জড়ো করে কপালের মাঝখানে রাখুন, কনুই বাইরের দিকে থাকবে।
- কপালের মাঝখানটা শক্ত করে কয়েক সেকেন্ড চেপে ধরে রাখুন।
- এবার রগের দিক বরাবর মাসাজ করুন, একবার চাপুন, তারপর ছেড়ে দিন।
- তিনবার এরকম করুন।
উপকারিতা: কপালে সূক্ষ্ম রেখা বা বলিরেখার মতো বয়সের দাগ পড়ে, মাসাজ করলে সে সব দাগ অনেকটাই কমে যায়। এ ছাড়া পেশির আরাম হয়, রক্ত সংবহন ভালো হয়, মাথাব্যথা থেকেও মুক্তি মেলে।
গালের হাড়

- তর্জনী অথবা মধ্যমা নাকের দু'পাশে রেখে হালকা চাপুন।
- ছেড়ে দিন, তারপর গালের নিচের হাড়ের দিকে এগোন, ফের চাপুন।
- এবার ফের কানের দিকে যান, কানের নিচের ফাঁপা জায়গাটা চাপুন, আবার ছেড়ে দিন।
- এভাবে তিনবার করুন।
উপকারিতা: গালের হাড়ের নিচের অংশকে বলে গ্লো পয়েন্ট। এই অংশে মাসাজ করলে মুখে রক্ত সংবহন ভালো হয়, ত্বকেরও ডিটক্স হয়। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে, আপনার মুখে ছড়িয়ে পড়ে তারুণ্যে ভরা উজ্জ্বলতা।
Written by Manisha Dasgupta on 11th Sep 2020