ত্বকের টানটান ভাব হারিয়ে ফেলা, ত্বকের রঙে সামঞ্জস্যহীনতা, দাগছোপ, আর বিবর্ণতা। রোজই আয়নার সামনে দাঁড়ালে এই কথাগুলি যদি আপনার মনে আসে, সেজন্য দায়ী করুন দূষণকে। একদিকে যেমন সুষম খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম আপনার ত্বকের স্বাস্থ্যরক্ষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, পরিবেশ দূষণ কিন্তু আপনার ত্বকের সবচেয়ে বড় শত্রু যা সারাক্ষণই ত্বকের ক্ষতি করে।
আমরা দেখেছি, পাঁচটি কারণ আছে যা নিয়মিতভাবে আপনার ত্বকের ক্ষতি করে। আমরা এও জানাব, কী করে আপনি এগুলি এড়িয়ে চলবেন। এবার আমরা যা লিখছি, মন দিয়ে পড়ুন ।
পরিবহন জনিত দূষণ
ত্বকের গভীরে গিয়ে পরিষ্কার করার ব্যাপারে আলস্য
ধূমপান
ক্লোরিন-জল
শরীরে পর্যাপ্ত জলের অভাব
- পরিবহন জনিত দূষণ
- ত্বকের গভীরে গিয়ে পরিষ্কার করার ব্যাপারে আলস্য
- ধূমপান
- ক্লোরিন-জল
- শরীরে পর্যাপ্ত জলের অভাব
পরিবহন জনিত দূষণ

আপনি দু-চাকা বা চার চাকা, যে ধরনের যানবাহনই ব্যবহার করুন না কেন, ক্ষতিকারক দূষণ এড়াতে পারবেন না। মুখ ওড়না বা রুমাল দিয়ে ঢাকুন বা টুপি পরুন, দূষণের কবল থেকে বাঁচতে কোনওটিই যথেষ্ট নয়। বোঝার ওপরে শাকের আঁটি হল সূর্যের অতিবেগুনি বা আলট্রাভায়োলেট রশ্মি, যেটি আপনার ত্বকের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। বাড়ি থেকে বেরোনোর আধঘণ্টা আগে তাই ভালো করে সানস্ক্রিন মেখে নিন। আমাদের পছন্দ ল্যাকমে সান এক্সপার্ট আলট্রা ম্যাট SPF 50 PA +++ জেল। এই সানস্ক্রিনটি নন-স্টিকি ফর্মুলা মেনে তৈরি, যা ত্বকে ব্যবহার করলে চটচট করে না, ‘ম্যাট ফিনিশ’ দেয়। তাই এটি সব রকম ত্বকের পক্ষেই উপযোগী।
ত্বকের গভীরে গিয়ে পরিষ্কার করার ব্যাপারে আলস্য

আমাদের ত্বকের ছিদ্র দিয়ে ধুলো, ময়লা, দূষণকণিকা, নানা ধরনের অশুদ্ধি সবই খুব সহজে ভেতরে প্রবেশ করে। এটির মোকাবিলা করার জন্য সবচেয়ে কাজের জিনিসটি হল ডিপ ক্লেনজিং ফেসওয়াশ। আমাদের পছন্দ পন্ড’স পিওর হোয়াইট অ্যান্টি-পলিউশন ফেসওয়াশ উইথ অ্যাকটিভেটেড চারকোল। এটি ত্বকের অনেক গভীরে গিয়ে সারাদিনের যাবতীয় ধুলোময়লা শুষে নিয়ে তা নিষ্কাশন করতে পারে। খুব মোলায়েমভাবে ত্বকের মৃত কোষ অপসারণ করে আপনার ত্বককে করে নির্মল আর উজ্জ্বল।
ধূমপান

আপনারা সকলেই জানেন যে ধূমপান আপনাদের ফুসফুসের ক্ষতি করে এবং কর্কট রোগের সম্ভাবনা বাড়ায় । কিন্তু এটা জানেন কি, যে ধূমপান করলে আপনার ত্বকেরও যথেষ্ট ক্ষতি হয়? ধূমপানের কারণে আপনার ত্বকের রক্তজালিকাগুলি সঙ্কীর্ণ হয়ে গিয়ে ত্বকে কুঞ্চন দেখা দেয় আর ত্বকে অকালবার্ধক্য এসে যায়। ত্বক টানটান রাখতে যে ইলাস্টিন আর কোলাজেন তন্তু প্রয়োজন, ধূমপানে সেগুলির ক্ষতি হয়। তাই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ধূমপান থেকে দূরে থাকুন।
ক্লোরিন-জল

ক্লোরিন মিশ্রিত জল আপনার ত্বক থেকে স্বাভাবিক তৈলাক্ত উপাদানগুলি নির্মূল করে দেয়। ফলে আপনার ত্বক হয়ে যায় শুষ্ক, নিষ্প্রাণ। ত্বকে অবাঞ্ছিত কুঞ্চনও দেখা দেয়। যে জলে প্রচুর ক্লোরিন মেশানো আছে, যেমন সুইমিং পুল ইত্যাদি জায়গা, সেখানে খুব বেশিক্ষণ সময় না কাটানোই স্বাস্থ্যকর।
শরীরে পর্যাপ্ত জলের অভাব

শরীরে ও ত্বকে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে জল মজুত থাকে, তাহলে তা দূষণের বিরুদ্ধে কাজ করে। প্রতিদিন নিয়ম করে অন্তত ৮-১০ গ্লাস জল পান করুন, যাতে শরীরের সমস্ত বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশিত হয়। প্রতিদিন ত্বকে ময়শ্চারাইজিং লোশন ব্যবহার করুন, যেটি আপনার ত্বক এবং ধুলোময়লার মধ্যে প্রতিরোধী স্তর হিসেবে কাজ করে আপনার ত্বককে রাখবে সুরক্ষিত।
Written by Ishani Roychoudhuri on 16th Nov 2018