স্মার্টফোনে চোখ সেঁটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কেটে যায়? ইনস্টাগ্রাম, টুইটার আর নানান সোশাল মিডিয়ায় বুঁদ হয়ে থেকেই কাটিয়ে দেন রাত! সে ক্ষেত্রে কিন্তু চোখের পাশাপাশি আপনার ত্বকেরও সমান ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ মোবাইল বা ল্যাপটপের মতো ডিজিটাল ডিভাইস থেকে একটা নীল আলো নির্গত হয় যা আপনার ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে দিতে পারে। কীভাবে এই নীল আলো ক্ষতি করে আপনার ত্বকের? কীভাবেই বা ক্ষতি
আটকাতে পারেন আপনি?
এ সব প্রশ্নের উত্তর জানতে পড়তে থাকুন... কী এই নীল আলো? মোবাইল বা ল্যাপটপ থেকে বেরনো নীল আলো একটি ক্ষুদ্র তরঙ্গদৈর্ঘ্য বিশিষ্ট উচ্চশক্তিসম্পন্ন আলো যা মানুষের চোখে ধরা পড়ে। এই নীল আলো সর্বত্র রয়েছে। সূর্যকিরণ আর পরিবেশে তো বটেই, বাড়িতে লাগানো আলোর বালব, যে কোনও ডিজিটাল স্ক্রিন বা ডিভাইসেও রয়েছে নীল আলো। গবেষণায় দেখা গেছে, নীল আলোয় বেশিক্ষণ থাকলে ঘুম না হওয়া, চোখের উপর চাপ পড়া, ক্লান্তি আর মাথাব্যথার মতো গুরুতর শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। সূর্যরশ্মিতেও কিছুটা নীল আলো থাকে যা আমাদের প্রাকৃতিক ঘুমের চক্র আর ধরন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে; কাজেই আমাদের প্রত্যেকেই কিছুটা নীল আলোয় থাকতে অভ্যস্ত।
- নীল আলো কীভাবে আপনার ত্বকের ওপর প্রভাব ফেলে?
- সানস্ক্রিন বদলে ফেলুন
- টপিকাল অ্যান্টিঅক্সিডান্ট লাগাতে পারেন
- রাতে স্কিন সিরাম মাখুন
- ফোনে নাইট মোড ব্যবহার করুন
নীল আলো কীভাবে আপনার ত্বকের ওপর প্রভাব ফেলে?

ঘণ্টার পর ঘণ্টা ল্যাপটপে বা স্মার্টফোনে মুখ গুঁজে কাটানো যদি আপনার অভ্যেস হয়, তা হলে শুধু আপনার চোখই নয়, আপনার ত্বকও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সারাক্ষণ নীল আলোর সংস্পর্শে থাকলে ত্বক ট্যান হয়ে যায়। দিনে আট ঘণ্টা কম্পিউটারের সামনে বসলে যে পরিমাণ শক্তির সামনে আপনার ত্বক উন্মুক্ত হয়ে পড়ে, তার পরিমাণ ভরদুপুরে চড়া রোদে 20 মিনিট থাকলেও একই ফল হয়। এর ফলে ত্বকের উপরিভাগ দুর্বল হয়ে পড়ে, ত্বকে প্রদাহ তৈরি হয়, ত্বকে বয়সের দাগ, বলিরেখা আর হাইপারপিগমেন্টেশন দেখা দেয়।
ফলে নিখুঁত, পালিশ করা, সুস্থ ত্বক পেতে চাইলে ক্ষতিকর নীল আলোর হাত থেকে আপনার ত্বককে সুরক্ষিত রাখাই আপনার প্রথম কাজ!
কীভাবে নীল আলোজনিত ক্ষতি থেকে ত্বককে বাঁচাবেন?
নীল আলো থেকে বাঁচতে কি তা হলে জীবন থেকে বাদ দিতে হবে ডিজিটাল ডিভাইস? সেটা যেহেতু সম্ভব নয়, তাই জেনে নিন কীভাবে স্ক্রিনটাইমে বিরাট তফাত না করেও কমাতে পারেন নীল আলোজনিত ক্ষতি।
সানস্ক্রিন বদলে ফেলুন

যে সব সানস্ক্রিন আপনার ত্বককে আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি এ আর বি-এর হাত থেকে বাঁচায়, নীল আলোর ক্ষতির বিরুদ্ধে তা কার্যকর নয়। তাই এমন সানস্ক্রিন কিনুন যা বিশেষভাবে নীল আলোর বিরুদ্ধে আপনার ত্বককে সুরক্ষিত রাখে। যদি এমন কোনও সানস্ক্রিন না পান যা ইউভি এ এবং বি আর নীল আলো, দুয়ের বিরুদ্ধেই আপনার ত্বককে বাঁচায়, তা হলে অন্যভাবে সুরক্ষিত রাখুন ত্বক। এমন একটি সানস্ক্রিন মাখুন যাতে জিঙ্ক অক্সাইড বা টিটানিয়াম ডাইঅক্সাইড রয়েছে এবং তার সঙ্গেই মেখে নিন একটি অ্যান্টিঅক্সিডান্টে ভরপুর ডে ক্রিম। এই কম্বিনেশনটি যথেষ্ট শক্তিশালী এবং আপনাকে সূর্যের রশ্মি আর নীল আলো, দুইয়ের হাত থেকেই সুরক্ষিত রাখে।
টপিকাল অ্যান্টিঅক্সিডান্ট লাগাতে পারেন

নীল আলো থেকে ত্বক বাঁচাতে রোজকার স্কিনকেয়ার রুটিনে টপিকাল অ্যান্টিঅক্সিডান্ট রাখতেই হবে। এমনিতে ত্বকে ভিটামিন ই-এর মতো প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডান্ট থাকে। কিন্তু ত্বক অতিবেগুনি রশ্মি, ডিজিটাল ডিভাইস থেকে বেরোনো নীল আলো আর দূষণের মতো পরিবেশগত কারণে অতিরিক্ত ফ্রি র্যাডিকালের সামনে উন্মুক্ত হয়ে পড়লে সেই প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডান্ট খরচ হয়ে যায়। ত্বক পরিচর্যার অঙ্গ হিসেবে রোজ টপিকাল অ্যান্টিঅক্সিডান্ট লাগালে আর সেই সঙ্গে টাটকা ফল আর শাকসবজির মতো অ্যান্টিঅক্সিডান্টে ভরপুর খাবার খেলে পরিবেশজনিত ক্ষতি আর নীল আলোর বিরুদ্ধে ত্বক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে।
রাতে স্কিন সিরাম মাখুন

নাইট রিপেয়ার ক্রিম বা সিরাম না মেখে কখনও শুতে যাবেন না। নাইট সিরাম ত্বকে নীল আলোর প্রভাব ও ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। এমন প্রডাক্ট কিনুন যাতে হ্যালিউরনিক অ্যাসিড আর পর্যাপ্ত শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডান্ট রয়েছে। চোখের চারপাশের সূক্ষ্ম কোমল ত্বক সুরক্ষিত রাখতে এই উপাদানগুলি খুবই কার্যকর এবং একই সঙ্গে এ সব উপাদান ত্বকের কোষগুলিকে প্রাকৃতিকভাবে নবীন হয়ে উঠতে সাহায্য করে।
ফোনে নাইট মোড ব্যবহার করুন

আজকাল বেশিরভাগ স্মার্টফোনেই নাইট টাইম মোডের অপশন থাকে, নীল আলোর উগ্রতার কারণে ত্বকের ক্ষতি কমাতে এই অপশনটি ব্যবহার করুন। নাইট টাইম মোড ব্যবহার করতে ফোনের সেটিংয়ে যান, তারপর নীল আলো থেকে হলুদ আলোয় পালটে দিন। আজকাল অনেক ফোনে ব্লু লাইট ফিল্টার করার সুবিধে থাকে, সেটাও ব্যবহার করতে পারেন। ল্যাপটপ আর ফোন ব্যবহারের সময় মুখ আর স্ক্রিনের মধ্যে ন্যূনতম দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করুন, তাতে ত্বকের ক্ষ
Written by Manisha Dasgupta on 12th Aug 2020