একবার ম্যানিকিওর করা শুরু করলেই সুন্দর হাতের নেশা ধরে যায়, আর কয়েক সপ্তাহ অন্তর সালোনে দৌড়োতে হয়। আর তার মানেই প্রতি মাসে বেশ বড়সড় খরচা! কিন্তু কেমন হয় যদি বলি, সালোনের মতো ম্যানিকিওর বাড়িতে বসেই করে ফেলতে পারবেন আপনি, তার জন্য বিরাট কিছু খরচও হবে না! একদম ঠিক শুনেছেন। বাড়িতে বসেই যাতে স্পায়ের মতো ম্যানিকিওর করে নিতে পারেন, তার ধাপে ধাপে গাইডলাইন রইল এখানে। নিজের যত্ন নেওয়ার এর চেয়ে ভালো উপায় আর কী হতে পারে!

 

ধাপ #1: পুরনো নেলপলিশ তুলে নখ ভিজিয়ে রাখুন

ধাপ #1: পুরনো নেলপলিশ তুলে নখ ভিজিয়ে রাখুন

শুরুতেই ল্যাকমে নেল কালার রিমুভার/ Lakmé Nail Colour Remover এর মতো অ্যালকোহলহীন নেলপলিশ রিমুভার দিয়ে সব পুরনো পালিশ তুলে ফেলুন। নখে নেলপলিশ লাগানো না থাকলেও নখে একটু রিমুভার ঘষে নিন, তাতে নখের ওপরে লেগে থাকা তেলময়লা উঠে যাবে। এরপর ঈষদুষ্ণ জলে দু'মিনিট নখ ভিজিয়ে রাখুন যাতে কিউটিকল নরম হয়ে যায়। নখ হলুদ হলে জলে কয়েক চাকা লেবু কেটে ফেলে রাখুন, সেই জলে নখ ভেজালে নখের হলুদ ছোপ হালকা হয়ে যাবে।

 

ধাপ 2: ক্লিপ, ফাইল আর বাফ করুন

ধাপ 2: ক্লিপ, ফাইল আর বাফ করুন

নখ কাটা দরকার মনে হলে কেটে ফেলুন। তারপর পছন্দমতো আকারে নখ ফাইল করে নিন। ফাইলার দিয়ে এপাশ ওপাশ ঘষে ফাইল করবেন না, একদিকে ফাইল চালান। নখ সবসময় ধার থেকে ফাইল করবেন, তাতে নখ ভেঙে যাওয়ার ভয় থাকে না। নখের মাঝের দিকে যাওয়ার সময় ফাইলার কীভাবে ধরছেন সেদিকে খেয়াল রাখুন। নখের মাথার দিকটা ফাইল করার সময় ফাইলার সবসময় খাড়া করে ধরবেন। এক ধার হয়ে গেলে নখের অন্য ধার ফাইল করুন। ফাইলার আর নখ যেন এক সমান্তরালে থাকে। দু'দিক আর নখের ওপরটা বাফ করে সমস্ত অসমান অংশ সমান করে দিন, আর একটা মসৃণ ভাব নিয়ে আসুন। তেল জমে ম্যানিকিওর নষ্ট করতে আর কে চায়, তাই না?

 

ধাপ #3: মাসাজ করুন, তারপর কিউটিকল পেছনে ঠেলে দিন

ধাপ #3: মাসাজ করুন, তারপর কিউটিকল পেছনে ঠেলে দিন

তেল বা বাম নয়, নখে কিউটিকল রিমুভার লাগিয়ে মাসাজ করুন। কিউটিকলে মাসাজ করলে মৃত কোষ উঠে গিয়ে নখ নরম হয়ে যাবে। এবার কিউটিকল স্টিক দিয়ে কিউটিকল ভেতরের দিকে ধীরে ধীরে ঠেলে দিন। খুব আস্তে আস্তে করবেন, না হলে নখে আঘাত লেগে যেতে পারে।

 

ধাপ #4: হাত এক্সফোলিয়েট করুন

ধাপ #4: হাত এক্সফোলিয়েট করুন

এবার হাত এক্সফোলিয়েট করার পালা। হাত এক্সফোলিয়েট করার উপযোগী স্ক্রাব নেই? দু' চামচ চিনি, তিন চামচ টক দই আর কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে তৈরি করে নিন নিজস্ব স্ক্রাব। পরিমাণমতো স্ক্রাব হাতে, কবজিতে আর বাহুতে মাসাজ করুন, এতে ত্বকের হারানো আর্দ্রতা ফিরে আসবে, মৃত কোষ উঠে যাবে। দু' মিনিট পর ঈষদুষ্ণ গরম জলে হাত ধুয়ে নিন, তারপর ভালো করে মুছে শুকিয়ে নিন।

 

ধাপ #5: বেস কোট পরুন

ধাপ #5: বেস কোট পরুন

এবার ল্যাকমে অ্যাবসলিউট নেল হার্ডেনার/ Lakmé Absolute Nail Hardener. দিয়ে বেস কোট পরে নিন। এতে নেলপলিশ নখে দাগ ধরাতে পারবে না, পলিশ স্থায়ীও হবে। তা ছাড়া এটি নখ মজবুত রাখে, ভেঙে যেতে দেয় না।

 

ধাপ #6: দু' কোট নেলপলিশ পরুন

ধাপ #6: দু' কোট নেলপলিশ পরুন

ব্রাশে বেশি নেলপলিশ নেবেন না। ততটুকুই নিন যাতে এক কোটে পুরো নখে নেলপলিশ পরা হয়ে যায়। একাধিক স্ট্রোকে নেলপলিশ না পরাই ভালো। ল্যাকমে অ্যাবসলিউট জেল স্টাইলিস্ট নেল কালার রেঞ্জ/ Lakmé Absolute Gel Stylist Nail Color range. থেকে পছন্দের রং বেছে নিন। এই রেঞ্জে 15টি গ্লসি শেড রয়েছে, গাঢ় রং আর চকচকে গ্লসি ফিনিশ পাবেন। প্রথমে নখের মাঝখানটায় নেলপলিশ পরুন যাতে কিউটিকলে বেশি রং লেগে না যায়, তারপর নখের দু'পাশে পলিশ লাগান। প্রথম কোট পরা হয়ে গেলে পরের কোট লাগানোর আগে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন। হয়ে গেলে ল্যাকমে অ্যাবসলিউট জেল স্টাইলিস্ট দিয়ে টপ কোট পরে নিন - টপ কোট পরলে নেলপলিশের রং দীর্ঘস্থায়ী হয়।

 

ধাপ #7: হাতে আর নখে ময়শ্চারাইজার মেখে নিন

ধাপ #7: হাতে আর নখে ময়শ্চারাইজার মেখে নিন

এবার হাতে ময়শ্চারাইজার মাখার পালা। না, তেলতেলে হ্যান্ড ক্রিম মাখতে বলছি না। বদলে পোমেলো নির্যাসযুক্ত ল্যাকমে নেল অ্যান্ড হ্যান্ড ক্রিমস/ Lakmé Nail and Hand Creams -এর মতো তেলাভাব হীন ফর্মুলা ব্যবহার করুন। পোমেলো নির্যাস ত্বক উজ্জ্বল আর তরতাজা রাখে, আর এই হ্যান্ড ক্রিম আপনার হাত রাখে কোমল আর মসৃণ, চার ঘণ্টা পর্যন্ত। আর সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হল, এই ক্রিম হাত ধোওয়ার পরেও হাত ময়শ্চারাইজড রাখে। হাতে মাখুন, বিশেষ নজর দিন আঙুলের শুষ্ক জায়গাগুলোয়! ব্যস, আপনার কাজ শেষ!