নিজের ত্বক স্পর্শ করে কোথাও শুষ্ক, আবার কোথাও আবার অন্য অংশের চেয়ে বেশি তেলতেলে বলে মনে হয়েছে? যদি হয়ে থাকে, তা হলে এটা হল অমসৃণ বা আনইভন ত্বকের টেক্সচারের লক্ষণ। সহজ ভাষায় বললে ত্বক স্পর্শ করলে যদি একটু রুক্ষ অসমান বলে মনে হয়, তা হলে তাকে টেক্সচারড ত্বক বলা হয়। টেক্সচারড ত্বকের মোকাবিলা করতে নিয়মিত স্কিনকেয়ার রুটিন মেনে চলা দরকার। পাশাপাশি রইল কিছু কাজের টিপস যা আপনার ত্বকের টেক্সচার দিনে দিনে মসৃণ সুন্দর করে তুলতে পারে। চোখ বুলিয়ে নিন!

 

নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করুন

নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করুন

জমে থাকা মৃত কোষ, আটকে থাকা তেলময়লা ত্বকের অসমান টেক্সচারের একটি বড় কারণ। ত্বক থেকে মৃত কোষ তুলে ফেলতে নিয়মিত ত্বক এক্সফোলিয়েট করা দরকার। তবে সাবধানে পা ফেলুন, কারণ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি এক্সফোলিয়েট করলে লাভের বদলে ক্ষতিই হবে। মুখ সপ্তাহে দু'বারের বেশি এক্সফোলিয়েট করবেন না। কোমল এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করুন যাতে খসখসে পার্টিকল নেই। খসখসে পার্টিকল থাকলে ত্বকে সূক্ষ্ম কাটাছেঁড়া দেখা দিতে পারে এবং ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বিবি-র পছন্দ: ল্যাকমে ব্লাশ অ্যান্ড গ্লো গ্রিন অ্যাপল এপ্রিকট জেল স্ক্রাব/ Lakme Blush & Glow Green Apple Apricot Gel Scrub

 

সানস্ক্রিন মাখুন

সানস্ক্রিন মাখুন

রোদের মধ্যে ত্বক যদি অসুরক্ষিত থাকে, তা হলে একাধিক ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে, যার একটি হল অসমান স্কিন টেক্সচার। তাই প্রতিদিন ভালো করে সানস্ক্রিন মাখা দরকার। ব্রড-স্পেকট্রাম এসপিএফ 30 বা তার বেশি, এমন সানস্ক্রিন মাখুন এবং সর্বাধিক সুরক্ষার জন্য প্রতি দু' তিন ঘণ্টা অন্তর নতুন করে মেখে নিন।

বিবি-র পছন্দ: পন্ড'স সান প্রোটেক্ট নন-অয়েলি সানস্ক্রিন এসপিএফ 30/ Pond’s Sun Protect Non-Oily Sunscreen SPF 30

 

ভিটামিন সি ব্যবহার করুন

ভিটামিন সি ব্যবহার করুন

ত্বকের টেক্সচার উন্নত করার সবচেয়ে সেরা উপায় হল অ্যান্টিঅক্সিডান্টের জোগান দেওয়া। ভিটামিন সি-এর শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডান্ট আর ত্বক সুস্থ রাখার গুণ আপনার ত্বককে পরিবেশজনিত সমস্ত হামলা থেকে রক্ষা করে, ক্ষতি সারিয়ে ত্বক সুস্থ ও সুরক্ষিত রাখে। নিয়মিত মাখলে ত্বকের টেক্সচার সুন্দর হয়ে ওঠে।

বিবি-র পছন্দ: ডার্মালজিকা বায়োলুমিন-সি সিরাম ব্রাইটনিং ভিটামিন সি সিরাম/ Dermalogica Biolumin-C Serum Brightening Vitamin C Serum

 

ময়শ্চারাইজার মাখতে ভুলবেন না

ময়শ্চারাইজার মাখতে ভুলবেন না

স্বাভাবিকের তুলনায় ত্বকে অনেক বেশি তেল তৈরি হচ্ছে? এর অর্থ আপনার ত্বকের ময়শ্চারাইজার দরকার। ময়শ্চারাইজার ত্বক শুষ্ক হতে দেয় না, এবং অতিরিক্ত তেল উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে রাখে। ত্বকে দৈনিক আর্দ্রতার জোগান অক্ষুণ্ণ রাখতে দিনে অন্তত দু'বার হালকা পুষ্টিদায়ক ময়শ্চারাইজার মাখুন।

বিবি-র পছন্দ: সেন্ট ইভস ব্রাইট অ্যান্ড র‍্যাডিয়েন্ট পিঙ্ক লেমন অ্যান্ড পিচ হাইড্রেটিং জেল/ St. Ives Bright & Radiant Pink Lemon & Peach Hydrating Gel

 

ফেসিয়াল অয়েল মাখুন

ফেসিয়াল অয়েল মাখুন

শুনতে অবাক লাগবে, স্ববিরোধীও লাগবে, কিন্তু বাস্তব হল, ত্বকের প্রাকৃতিক তেল উৎপাদনের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে ফেসিয়াল অয়েল দারুণ কাজের। ফেসিয়াল অয়েল আপনার ত্বকের অতিরিক্ত তেল উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে রাখে, ফলে ত্বক থাকে সুস্থ। ব্ল্যাকহেডস আর হোয়াইটহেডস বেরোনো নিয়ন্ত্রণে রাখতে ফেসিয়াল অয়েল মাখুন, কারণ এ সবই টেক্সচারড, অসমান ত্বকের জন্য দায়ী।

বিবি-র পছন্দ: ডার্মালজিকা ফাইটো রিপ্লেনিশিং অয়েল/ Dermalogica Phyto Replenishing Oil