ত্বকের যত্ন নিয়ে বড্ড বেশি চিন্তিত থাকেন আপনি? নানা টোটকার খোঁজখবর রাখেন ত্বক সুস্থ আর সুন্দর রাখতে? তা হলে নিশ্চয়ই ছবিতে বা ভিডিওয় গাঢ় সবুজ রঙের পানীয়তে চুমুক দিতে দেখেছেন অনেককে! সোশাল মিডিয়ার একাধিক কনটেন্ট ক্রিয়েটর, যাঁরা ব্রণর সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা ব্রণহীন, স্বচ্ছ পরিষ্কার ত্বক পেতে জলে তরল ক্লোরোফিল যোগ করছেন, অর্থাৎ লিকুইড ক্লোরোফিল ওয়াটার পান করছেন। কিন্তু এতে কি সত্যিই কোনও কাজ হয়? আসুন দেখা যাক!

 

তরল ক্লোরোফিল কী আর তা কীভাবে ব্রণ কমায়?

তরল ক্লোরোফিল কী আর তা কীভাবে ব্রণ কমায়?

প্রথমে বুঝে নেওয়া যাক তরল ক্লোরোফিল আসলে ঠিক কী! এটি উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত ক্লোরোফিলের ঘনীভূত আকার, এবং এই কারণেই তার রঙ গাঢ় সবুজ এবং এটি পর্যাপ্ত অ্যান্টিঅক্সিডান্টে সমৃদ্ধ। পালং শাক বা পার্সলের মতো সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ক্লোরোফিল পাওয়া যায়। ক্লোরোফিলে প্রচুর পরিমাণে সি, এ ই এবং কে ভিটামিন রয়েছে, পাশাপাশি রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডান্টের গুণ। ব্যাকটেরিয়ার বাড়বাড়ন্ত কমিয়ে ব্রণ সারিয়ে তোলায় জুড়ি নেই এই উপাদানটির। তবে ব্রণর লালচেভাব আর ব্যথা কমাতে পারলেও ত্বকের গভীরে সিস্ট হয়ে যাওয়া ব্রণ কমাতে এটি তেমন কার্যকর নাও হতে পারে।

আমরা জানি আপনি ভাবছেন, ক্লোরোফিলের বদলে সবুজ শাকসবজি খেলেই তো হয়! এমনিতেই রোজকার খাবারে পালং শাক, কেল বা পার্সলের মতো সবুজ শাকসবজি রাখতেই হবে। কিন্তু ব্রণর জন্য প্রতিদিন 100-300 মিলিগ্রাম তরল ক্লোরোফিল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, আর এক কাপ পালং শাকে ক্লোরোফিল থাকে 24 মিলিগ্রাম মতো। তাই সবচেয়ে ভালো ফল পেতে আপনাকে প্রায় 10-12 কাপ পালং শাক খেতে হবে! সেটা কোনও মতেই সম্ভব নয়!

 

 

ব্রণর জন্য তরল ক্লোরোফিল কীভাবে ব্যবহার করবেন

ব্রণর জন্য তরল ক্লোরোফিল কীভাবে ব্যবহার করবেন

জলে গুলে খাওয়া ছাড়াও ব্রণর ওপরে তরল ক্লোরোফিল লাগাতে পারেন। এতে প্রদাহ কমানোর গুণ রয়েছে, তা ছাড়া এর সবুজ রঙের কারণে ব্রণর লালচেভাব অনেকটাই ঢাকা পড়ে যায়। তবে তরল ক্লোরোফিলের অ্যান্টিঅক্সিডান্ট গুণের পূর্ণ উপকারিতা পেতে চাইলে তা খাওয়াই ভালো। এ নিয়ে খুব কম গবেষণা হয়েছে, কিন্তু যেটুকু তথ্য এখনও পর্যন্ত পাওয়া গেছে, তাতে এই বস্তুটিকে আমরা আমাদের রোজকার রুটিনে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যোগ করতে চলেছি। আপনি কী করবেন?