গর্ভাবস্থার পরবর্তী সময়টুকুতে যেন জীবনের অনেক কিছুই ওলটপালট হয়ে যায়। শুধু সদ্যোজাত শিশুর জন্যই যে মাকে সম্পূর্ণ সময় ব্যয় করতে হয়, তাই-ই নয়, মায়ের নিজের শরীরেও হরমোনের ক্ষরণের ওঠাপড়া চলে, সেই সঙ্গে রাতের পর রাত চোখে ঘুম থাকে না আর বিশ্রামের অবসর পাওয়া যায় হয় খুব সামান্য বা একেবারেই নয়। আর এই সব কিছুই ছাপ ফেলে আপনাদের চেহারায়। আপনারা সকলেই ভেবে ভেবে অস্থির হয়ে যান যে কবে আবার আগের মতো রূপলাবণ্য ফিরে পাবেন! নতুন মায়েদের বলছি, একদম অস্থির হবেন না। আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ। ডক্টর ও পি সিং এবং ডক্টর সুনীল কুমার গুপ্তা জানাচ্ছেন, গর্ভাবস্থার পরবর্তী পর্যায়ে আপনারা কী করে নিজেদের ত্বকের যত্ন নেবেন।
সন্তানের জন্মে দেওয়ার পরে পরেই আপনার মুখের আর শরীরের ত্বকে প্রচুর পরিবর্তন ঘটে । শিশুর দেখাশুনো করা যদিও সবচেয়ে জরুরি কাজ, আপনাদের কিন্তু এ কথাও ভুলে গেলে চলবে না যে নিজেদের জন্যও কিছু যত্ন আর ভালোবাসার প্রয়োজন, বিশেষ করে যদি আবার সেই আগের মতো স্বাস্থ্য আর সৌন্দর্যের দীপ্তি ফিরে পেতে হয়।
এখানে জানানো হচ্ছে শিশুর জন্মের পরে মা কীভাবে নিজের ত্বকের যত্ন নেবেন।

দিল্লির ডক্টর ( প্রফেসর) ও পি. সিং , এম বি বি এস, ডিভিডি, এম ডি, বলছেন সন্তানের জন্মের পরে মায়ের মুখের ত্বকের কিছু কিছু সাধারণ সমস্যার কথা এবং তার কারণ...
গর্ভাবস্থার পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ সন্তানের জন্মের পরে মায়েদের ত্বকে সবচেয়ে সাধারণ যে সব সমস্যাগুলি দেখা যায়, সেগুলি কী কী আর তার কারণই বা কী ?
সন্তানের জন্মের পরে মায়ের শরীরে হরমোনজনিত যে সব পরিবর্তন ঘটে, তাতে ঠোঁটের চারপাশে, গালে আর কপালে পিগমেন্টেশন দেখা দিতে পারে । এটিকে বলা হয় মেলাস্মা । দ্বিতীয় যে পরিবর্তনটি সন্তানের জন্মের পরে মায়েদের ত্বকে প্রায়ই দেখা যায়, তা হল অ্যাকনে। এটির কারণ হল, সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে পরেই হরমোনের ভারসাম্য এদিক ওদিক হয় বলে প্রোজেস্টেরনের মাত্রা বেড়ে যায়। যার ফলে শরীরের তৈলগ্রন্থিগুলি থেকে আর ত্বকের বন্ধ ছিদ্রগুলি থেকে তৈলাক্ত পদার্থের ক্ষরণ বাড়ে।

লক্ষ্ণৌয়ের বারাবাঁকির প্রফেসর অফ ডার্মাটোলজি, ডক্টর সুনীল কুমার গুপ্তা, এম ডি ( স্কিন, ভি ডি অ্যান্ড লেপ্রসি ) গর্ভাবস্থার পরবর্তী পর্যায়ে ত্বকের যত্ন নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন...
কী ধরনের নিয়মিত যত্ন সদ্য সন্তানের জন্ম দেওয়া তরুণী মায়েদের জন্য জরুরী, বিশেষ করে স্ট্রেচ মার্ক আর মেলাস্মা জাতীয় সমস্যার জন্য ?
হ্যালিউরনিক অ্যাসিডযুক্ত ভালো গুণমানের ময়শ্চারাইজ়ার নিয়মিত ব্যবহার করলে স্ট্রেচ মার্ক তৈরি হওয়া কমাতে সহায়তা করে। সানস্ক্রিন আর ডিমেলানাইজ়িং ক্রিম হাইপারপিগমেন্টেশনের মোকাবিলা করতে সাহায্য করতে পারে ।
Written by Ishani Roychoudhuri on Mar 22, 2019
Author at BeBeautiful.