একটা খুব সহজ সাধারণ প্রশ্ন করব আপনাদের। ঠোঁট খুব শুকনো লাআআর হাতের কাছে লিপবাম না থাকলে চটজলদি ঠোঁট ভেজাতে আপনারা কী করেন? জিভ দিয়ে চেটে ঠোঁট ভিজিয়ে নেন, তাই তো? এটাই খুব স্বাভাবিক কাজ, তবে এক আধবারের জন্য! ঠোঁট যদি সারাক্ষণই শুকনো আর ফাটা থাকে, তা হলে কিন্তু তার জন্য আপনার এই ঠোঁট চাটার অভ্যেসই দায়ী! নিশ্চয়ই ভাবছেন, কেন? আসুন দেখে নিই, সারাক্ষণ জিভ দিয়ে ঠোঁট চাটলে কী হয়, কীভাবে এই অভ্যেস থেকে বেরিয়ে আসবেন, আর একই সঙ্গে কীভাবে আর্দ্র রাখবেন আপনার ঠোঁট।
জিভ দিয়ে ঠোঁট চাটলে কী হয়?

মনে হতেই পারে, জিভ দিয়ে ঠোঁট চাটলে ঠোঁট আর্দ্র থাকে, ঠোঁট ফাটে না! কিন্তু বাস্তবতা হল, এতে ঠোঁট আরও বেশি শুকিয়ে যায়। হ্যাঁ, এতদিন যে ধারণা আপনার মনে ছিল, বুঝতেই পারছেন তা সম্পূর্ণ ভুল! তা ছাড়া জিভ দিয়ে ঠোঁট চাটার অভ্যেস আর তার সঙ্গে শুকনো ঠোঁট, এই দুইয়ে মিলে একটা ক্রনিক সমস্যা তৈরি হয় যার নাম 'লিপ লিকার'স ডার্মাটাইটিস' অর্থাৎ ঠোঁট চাটা জনিত চর্মরোগ! আপনার মুখের লালা ঠোঁট তো ভিজিয়ে দেয়, কিন্তু এই ভেজাভাব নিমেষেই শুকিয়ে যায়, ফলে ঠোঁট আগের চেয়েও বেশি শুকনো হয়ে যায়! আসলে লালায় কিছু পাচক এনজাইম থাকে যা ঠোঁটের পাতলা ত্বক আরও পাতলা করে দেয়, ফলে ঠোঁট শুষ্ক হতে থাকে।
এ সমস্যা সমাধানে কী করা দরকার

এটুকু প্রথমে বুঝে নিন, জিভ দিয়ে ঠোঁট চাটলে শুকনো ঠোঁটের সমস্যা আরও বাড়বে। তাই প্রথমেই এই অভ্যেস ছাড়তে হবে, আর তার জন্য ঠোঁট সারাক্ষণ আর্দ্র রাখতে হবে। সবসময় সঙ্গে লিপবাম রাখুন, ঠোঁট শুকনো আর ফাটা লাগছে মনে হলেই লাগিয়ে নিন। বেশি করে জল খেলেও উপকার পাবেন। শরীর আর্দ্র থাকলে ত্বকও আর্দ্র থাকবে, আর বিশেষত যেহেতু ঠোঁটের ত্বক অনেক বেশি পাতলা আর সংবেদনশীল, তাই প্রচুর জল না খেলে তা খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। তাই ঠোঁট আর্দ্র আর সুস্থ রাখুন। ঠোঁট শুকনো না লাগলে জিভ দিয়ে চাটার অভ্যেস এমনিই কমে যাবে!
Written by Manisha Dasgupta on 4th Mar 2021