এর সঙ্গে কি আত্মসচেতনতার কোনও যোগ রয়েছে?

'সমবয়সী অনেকে করছে বলে আমিও করব', এই মানসিকতা থেকে কিশোরীরা অনেক সময় অনেক কিছু করতে শুরু করে। কিন্তু এই চিন্তাধারা ঠিক নয়। বয়ঃসন্ধিতে কিশোরী মেয়েরা নিজেদের শরীর ও সৌন্দর্য সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠে, নিজেদের তারা বন্ধু ও সহপাঠীদের সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করে এবং কোথাও নিজেদের সামান্য খামতি আছে দেখলে তারা হীনম্মন্যতায় ভুগতে থাকে। হয়তো তফাত খুবই সামান্য, কিন্তু নিজেকে সে অপাংক্তেয় মনে করতে শুরু করে। এরকম পরিস্থিতিতে মেয়েকে নিয়ে বসুন, হঠাৎ করে কেন সে হাত-পায়ের রোম তুলে ফেলতে চাইছে বা ভুরু শেপ করতে চাইছে জানতে চান। যদি সে জানায় তার হাত-পায়ের রোম খুব ঘন, অথবা কোনও স্বাস্থ্যজনিত কারণে সে রোম তুলে ফেলতে চায়, সে ক্ষেত্রে 13-16 বছর বয়সের মধ্যে একজন টিনএজ মেয়ে প্রথমবার ওয়্যাক্সিং বা থ্রেডিং করতেই পারে।
বিকল্প নিয়ে আলোচনা করুন

ওয়্যাক্সিং বা থ্রেডিং নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন? এবার পরের ধাপ হল, হাতে কী কী বিকল্প রয়েছে তা খতিয়ে দেখা। শরীর থেকে রোম তোলার জন্য ওয়্যাক্সিং একমাত্র পদ্ধতি নয়, শেভিং, হেয়ার রিমুভিং ক্রিম, এপিলেটরের মতো বিকল্পও রয়েছে যাতে তুলনামূলকভাবে ব্যথা লাগেই না বা কম লাগে। আপনার মেয়ের ত্বক যদি সেনসিটিভ হয়, তা হলে ওয়্যাক্সিং থেকে ব্যথা লাগতে পারে, পুড়ে যাওয়াও বিচিত্র নয়! বাড়িতে কখনও ওয়্যাক্সিং ট্রাই করবেন না, কারণ রোমের ঘনত্ব ও বৃদ্ধি এক একজনের ক্ষেত্রে এক একরকম হয়, ফলে বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেওয়াই ভালো!
ভালোবাসার বাঁধন দৃঢ় করুন

মেয়ে থাকার সবচেয়ে ভালো দিক হল, মা আর মেয়ে একই সঙ্গে সালোনে গিয়ে খানিকটা একান্ত নিজস্ব সময় কাটাতে পারেন। ব্যস্ত রুটিন থেকে খানিক ছাড় বের করে সেই সময়টা মেয়ের সঙ্গে কাটাতে পারলে মনটা ভালো হয়ে যায়! তাই মেয়ের সঙ্গে বসে পার্লারের সেশন ঠিক করে ফেলুন আর কাটান আপনাদের একান্ত সময়। আর কিছু না হোক, মেয়েকে কিছুটা সময় ফোন থেকে তো দূরে রাখা যাবে, তাই না?
Written by Manisha Dasgupta on 29th Jul 2020