শেক্সপিয়রের আমলে এই ফলটির খ্যাতি ছিল আফ্রোডিসিয়াক হিসেবে। তারপর দিনে দিনে স্বাস্থ্য আর রূপচর্চার জগতেও সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে তার। সত্যি বলতে এপ্রিকটের অবদান কখনও শেষ হওয়ার নয়! অ্যান্টিঅক্সিডান্টে ভরপুর এই ফলটি ত্বককে সানবার্ন, অকালজরার মতো একাধিক সমস্যা থেকে রক্ষা করে এবং ত্বককে পরিবেশের নানা আক্রমণ থেকেও সুরক্ষিত রাখে। কিন্তু শুধু এটুকুতেই এপ্রিকটের গুণ শেষ নয়! ত্বকের পক্ষে এপ্রিকট কেন উপকারী, তার ছ'টি কারণ দেখালাম আমরা। একবার চোখ বুলিয়ে নিলেই বুঝবেন কেন এই উপাদানটি সারাক্ষণ আপনার হাতের কাছে থাকা জরুরি। তা হলে শুরু করা যাক...
- 01. ত্বক আর্দ্র রাখে
- 02. ব্ল্যাকহেড কমায়
- 03. বলিরেখা কমায়
- 04. ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে
- 05.ত্বকের রোগ সারায়
- 06. পিগমেন্টেশন কমায়
01. ত্বক আর্দ্র রাখে

শুষ্ক, রুক্ষ ত্বক ময়শ্চারাইজ করতে জুড়ি নেই এপ্রিকটের, কারণ এতে রয়েছে জরুরি ফ্যাটি অ্যাসিড আর ভিটামিন এ। এটি ত্বকের কোষগুলোকে আর্দ্র করে এবং কোনও তেলতেলেভাব ছাড়াই ত্বকে দ্রুত শুষে যায়, ফলে সবধরনের ত্বকের পক্ষেই এটি মানানসই।
02. ব্ল্যাকহেড কমায়

এপ্রিকট ত্বকের মৃত কোষ পরিষ্কার করে রোমছিদ্রের মুখ খুলে দেয় এবং ত্বককে গভীর থেকে পরিষ্কার রাখে। এপ্রিকটের রসে একটি প্রাকৃতিক অ্যাসিড রয়েছে যা ব্রণর সিস্টে ঢুকে প্রদাহ আর ক্ষত সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে। তবে কাঁচা এপ্রিকট ত্বকের পক্ষে কড়া হতে পারে, তাই সরাসরি এপ্রিকট ব্যবহার না করে তার নির্যাস সমৃদ্ধ ল্যাকমে ব্লাশ অ্যান্ড গ্লো জেল স্ক্রাব- গ্রিন অ্যাপল অ্যান্ড এপ্রিকট/ Lakmé Blush and Glow Gel Scrub - Green Apple and Apricot. -এর মতো কোমল স্ক্রাব ব্যবহার করুন। এই এক্সফোলিয়েটিং জেলটি ত্বকে কোমলভাবে কাজ করে এবং সমস্ত তেলময়লা, ব্ল্যাকহেড আর মৃত কোষ পরিষ্কার করে দেয়।
03. বলিরেখা কমায়

এপ্রিকটের তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে, যা অ্যান্টি-এজিং উপাদান হিসেবে খুবই কার্যকর। এই তেল কোলাজেনের উৎপাদন বাড়ায়, ত্বক টানটান রাখে; নিয়মিত এই তেল ব্যবহার করলে মুখ থেকে সমস্ত বলিরেখা দূর হবে, ত্বক হয়ে উঠবে তরুণতর!
04. ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে

এপ্রিকট ত্বকে পুষ্টি জুগিয়ে নতুন জীবন ফেরাতে পারে। কাজেই নানা স্কিনকেয়ার প্রডাক্টে প্রায়শই এই ফলটি উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এপ্রিকটে পর্যাপ্ত ভিটামিন এ আর অ্যান্টিঅক্সিডান্ট রয়েছে যা ত্বকের ক্ষতি হতে দেয় না, বরং নতুন কোষ জন্মাতে সাহায্য করে। এর ফলে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা অর্থাৎ ইলাস্টিসিটি বাড়ে এবং আপনাকে দেখায় দীপ্তিময়ী!
05.ত্বকের রোগ সারায়

মসৃণ উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার অন্যতম উপায় হওয়ার পাশাপাশি এপ্রিকট ত্বকের একাধিক সমস্যা সারাতে পারে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং এ থাকায় এটি এগজিমা, চুলকানি, স্কেবিসের মতো চর্মরোগ কমাতে সাহায্য করে। এপ্রিকটের শাঁসে প্রদাহ কমানোর গুণ রয়েছে, ফলে এটি ব্রণ প্রতিরোধেও বিশেষভাবে কার্যকর!
06. পিগমেন্টেশন কমায়

এপ্রিকট ত্বকের মৃত কোষ তুলে দিয়ে ভেতরের নতুন ও হালকা রঙের কোষ বের করে আনে, ফলে পিগমেন্টেশন কমে। এর ফলে মসৃণ, সমান রঙের এবং তরুণতর ত্বক পাওয়া সম্ভব হয়।
Written by Manisha Dasgupta on 2nd Feb 2022