বেসন আর নিম

পুরোনো চেনা উপাদান, কিন্তু অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য| ত্বকের ক্ষেত্রে বেসন জাদু দেখায়| এটি ব্রণ কমায়, বিবর্ণ আর শুষ্ক ত্বকে সজীবতা আনে... হাজার কাজ করে দেখায়! এটির সঙ্গে যুক্ত হয় নিমের জীবাণু-প্রতিরোধকারী গুণ যুক্ত হলে ব্রণ নির্মূল হওয়া ছাড়া আর গত্যন্তর থাকে না| সাদা মুখের ফুসকুড়ি বা ফোলা ভাব কিছু থাকলে সেগুলিও চলে যাবে|
মাস্ক বানানোর পদ্ধতি
এক টেবিলচামচ করে শুকনো নিমপাতার গুঁড়ো আর বেসন নিন| তাতে ভালো করে এক টেবিলচামচ টক দই দিয়ে ফেটান| ঘন লেই তৈরি হলে সেটি মুখে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন| তারপর জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন|
মধু আর দারচিনি
ভাবতে হয়ত অসুবিধে হচ্ছে যে মধুর মতো সুস্বাদু বস্তু আবার ত্বকের পক্ষেও উপকারী! কিন্তু ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করার জন্য মধু অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য| মধু আর দারচিনি একসঙ্গে কাজ করে মুখের ত্বকের ছিদ্রে বাসা বেঁধে থাকা যে সব ব্যাকটেরিয়া সেই ছিদ্রগুলিকে বিষিয়ে ফুলিয়ে রাখে, তাদের মেরে ফেলে| ফলে ত্বকের লালচে ভাব আর ব্রণ কমে যায়|
মাস্ক বানানোর পদ্ধতি
দু’ টেবিলচামচ মধুর সঙ্গে এক চাচামচ দারচিনি বাটা মিশিয়ে লেই তৈরি করুন| এটি দাগধরা জায়গায় বা ক্ষতমুখগুলিতে বা ব্রণর উপরে সরাসরি লাগান| চাইলে পুরো মুখেও লাগাতে পারেন| ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে ঈষদুষ্ণ জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন|
দই আর কলা

কে জানত যে দই আর কলা, আমাদের প্রাতরাশের প্রিয় জিনিসগুলি আমাদের ত্বকের প্রয়োজনেও ব্যবহার করা যাবে? ল্যাকটিক অ্যাসিড আছে বলে দই ত্বকের মরা কোষ তুলে ফেলার পক্ষে আদর্শ উপাদান| মরা কোষগুলি ত্বকের উপরে গলিয়ে ফেলে এটি ত্বকের ফাটল, কুঞ্চন আর বলিরেখা কমিয়ে দেয়| কলার সঙ্গে মিশে এটি ত্বকের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী মাস্ক তৈরি করে, কারণ কলায় আছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস|
মাস্ক বানানোর পদ্ধতি
একটি পাকা কলা চটকে নিয়ে তাতে এক টেবিলচামচ দই মেশান| তারপর এক চাচামচ মধু আর এক চাচামচ পাতিলেবুর রস মিশিয়ে দিন| ভালো করে নেড়ে একটি সুষম মিশ্রণ তৈরি করুন| ১৫ মিনিট মুখে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে রেখে জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন|
বেকিং সোডা
এই উপাদানটি দেখেই আঁতকে উঠলেন না কি? কিন্তু বিশ্বাস করুন, বেকিং সোডা আপনার ত্বককে করে পরিষ্কার আর মসৃণ | ত্বকের ছিদ্রের গভীরে জমে থাকা ময়লা দূর করে এটি ছিদ্রগুলিকে মুক্ত করে দেয় |
মাস্ক বানানোর পদ্ধতি
এক টেবিলচামচ বেকিং সোডার সঙ্গে এক টেবিলচামচ মধু মেশান| তাতে আধ টেবিলচামচ পাতিলেবুর রস দিন| এবার ভালো করে মুখ ধুয়ে নিয়ে তারপর সব উপাদান মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট রেখে দিন| তার পর হালকা গরম জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন| খেয়াল রাখবেন, খুব সংবেদনশীল ত্বকের পক্ষে এই মাস্ক উপযোগী না-ও হতে পারে, কারণ বেকিং সোডার বিক্রিয়া-ক্ষমতা যথেষ্ট তীব্র|
হলুদ

এই শক্তিশালী মশলাটি গন্ধে আর নিজস্ব অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের গুণে ভরপুর| এটির মধ্যে আছে ফোলাভাব কমিয়ে দেওয়ার গুণও, ফলে ত্বকে আসে স্থিতি আর প্রশান্তি| আমরা পাই ত্বকে স্বাস্থ্যের উজ্জ্বলতা, যা আমাদের সকলের স্বপ্ন |
মাস্ক বানানোর পদ্ধতি
এক চাচামচ হলুদ, এক চাচামচ দই আর এক চাচামচ মধু ভালো করে ফেটিয়ে থকথকে করে নিন| তারপর এই মিশ্রণ মুখে মেখে ২০-৩০ মিনিট অপেক্ষা করে শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার, নরম ভিজে কাপড় দিয়ে মুখ ভালো করে মুছে ফেলুন|
Written by Ishani Roychoudhuri on 7th Sep 2018