ব্যায়াম করার পরে যদি গায়ে পায়ে একটু ব্যথাই না হল, তা হলে আর ব্যায়াম কিসের! এমন একটা ধারণায় আমরা অনেকেই বিশ্বাস করি। গা ঘামিয়ে ব্যায়াম করার পর পেশির টনটনানি যখন জানান দেয়, তখনই মনে হয় বেশ ভালোমতো ব্যায়াম হয়েছে! কিন্তু ব্যায়াম করার মানেই যে ব্যথা সহ্য করতে হবে, এ কথায় আমরা বিশ্বাসী নই! আর তাই আমরা নিয়ে এসেছি পাঁচটি সহজ নিদান যা আপনাকে ব্যায়াম পরবর্তী পেশির ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে। চোখ বুলিয়ে নিন...
- 1. প্রচুর জল খান
- 2. পেশিতে মাসাজ করুন
- 3. গরম জলে স্নান
- 4. হালকা স্ট্রেচিং করুন
- 5. ডায়েটে রাখুন প্রোটিন
1. প্রচুর জল খান

পেশির ব্যথার অন্যতম কারণ হল ডিহাইড্রেশন বা শরীরে জলের অভাব। শরীরে জল কম হলে রক্তের প্রবাহের গতি কমে যায়, শরীরে টক্সিন জমে, আর তা থেকে পেশির আড়ষ্টতা, ব্যথা, ক্র্যাম্প, এমনকী, স্প্যাজমও দেখা দিতে পারে। তাই জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান, পেশির ব্যথাও অনেক কম থাকবে দিনে 8-10 গেলাস জল খান, আর ব্যায়ামের সময় হাতের কাছে রাখুন ওয়াটার বটল।
2. পেশিতে মাসাজ করুন

ব্যথার জায়গায় মাসাজ করলে পেশি ধীরে ধীরে শিথিল হবে। মাসাজ পেশি শিথিল করার পাশাপাশি রক্ত সংবহনও বাড়িয়ে তোলে। তাই যে কোনও তেল বা ব্যথা কমানোর মলম নিয়ে ব্যথার জায়গায় ধীরে ধীরে মাসাজ করুন। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে আকুপ্রেশার বা ডিপ টিস্যু মাসাজও করতে পারেন।
3. গরম জলে স্নান

গা ঘামিয়ে ব্যায়ামের পর ঈষদুষ্ণ জলে স্নানের মতো আরাম আর কিছুতে নেই! এতে একদিকে যেমন ত্বক তরতাজা হয়ে ওঠে, তেমনি পেশির ব্যথাতেও আরাম হয়, অনেকটা হিটিং প্যাডের মতো। স্নানের গরম জল পেশির প্রদাহ আর ব্যথা কমায়, একই সঙ্গে শরীরে রক্ত সংবহন বাড়িয়ে তোলে। তাই ওয়ার্ক আউটের পর লাভ বিউটি অ্যান্ড প্ল্যানেট ন্যাচারাল কোকোনাট ওয়াটার অ্যান্ড মিমোসা রিফ্রেশ বডিওয়াশ/ Love Beauty & Planet Natural Coconut Water & Mimosa Refresh Body Wash এর মতো ভালো বডিওয়াশ দিয়ে স্নান করুন। ইন্দ্রিয় আর পেশি শান্ত করার পাশাপাশি এই ক্লিন বডিওয়াশের প্রাকৃতিক ডাবের জল, মরোক্কান মিমোসা ফুল আর নারকেল তেল আপনার ত্বক তরতাজা করে, ত্বকে পুষ্টি জোগায় আর আর্দ্রও রাখে। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে কোমল আর মসৃণ।
4. হালকা স্ট্রেচিং করুন

ব্যায়ামের আগে আর পরে স্ট্রেচ করে নেওয়া ভালো অভ্যাস। আর ব্যায়ামের পরে যদি মাসলে ব্যথা হয়েছে বলে মনে হয়, তা হলে পেশির খিঁচ আলগা করলে হালকা স্ট্রেচ করে নিন। এতে শরীর গতিশীল আর উষ্ণ থাকবে, ফলে রক্ত সংবহনে ব্যাঘাত হবে না আর পেশি থেকে নির্গত টক্সিনের কারণেও ক্র্যাম্পিং হবে না।
5. ডায়েটে রাখুন প্রোটিন

পেশির খিঁচ বা ব্যথা কমানোর অন্যতম সেরা উপায় হল রোজকার খাবারে প্রোটিন রাখা। প্রোটিনের অ্যামাইনো অ্যাসিড কঠোর ব্যায়ামের পরে আপনার পেশিগুলোকে মেরামত করতে সাহায্য করে। ফলে পেশির ব্যথা কমাতে ডিম, মুরগির মাংস, আমন্ড, ওটস, ছানা, দুধ, ব্রকোলির মতো খাবার রাখুন আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে।
Written by Manisha Dasgupta on 1st Nov 2021