মাসের পাঁচদিন যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয় সব মেয়েকে সেটা মোটেই সুখকর নয়, আবার তার ওপরে রয়েছে পেটে ব্যথা আর অস্বস্তিকর ক্র্যাম্প! প্রতি মাসে ঋতুস্রাবের মধ্যে দিয়ে শরীর জানিয়ে দেয় কোনও ভ্রুণ শরীরের মধ্যে বেড়ে উঠছে না এবং অনিষিক্ত ডিম্বাণু শরীর থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু যদি ক্র্যাম্প বা অস্বস্তি ছাড়াই সে খবরটা জানা যেত, তা হলেই বেশি ভালো হত,তাই না? পিরিয়ডের ক্র্যাম্প আর মুড সুয়িং কাটাতে পছন্দের সিনেমা আর কমফর্ট ফুড আমাদের ভরসা হলেও দরকার আরও বেশি কিছু। তাই আমরা নিয়ে এসেছি পাঁচটি সহজ অথচ কার্যকরী উপায় যা দিয়ে পিরিয়ডের ব্যথা কমিয়ে ফেলতে পারবেন আপনি, আর 'মাসের ওই ক'টা দিন' কেটে যাবে সহজেই!
- 01. ভরসা রাখুন গরম সেঁকে
- 02. এসেনশিয়াল অয়েলের মাসাজ
- 03. চুমুক দিন ভেষজ চায়ে
- 04. অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি খাবার খান
- 05. হালকা ব্যায়াম করুন
01. ভরসা রাখুন গরম সেঁকে

এ টোটকা কখনও পুরনো হওয়ার নয়। মেনস্ট্রুয়াল ক্র্যাম্পের হাত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হল পেটে গরম সেঁক নেওয়া। গরম জলে স্নান করলে বা হট ওয়াটার বটল কিংবা গরম তোয়ালে দিয়ে সেঁক নিলে শরীরে রক্ত সংবহন উন্নত হয়, জরায়ু আরাম পায়, পেশি শিথিল হয়ে ব্যথা কমে।
02. এসেনশিয়াল অয়েলের মাসাজ

ব্যথা কমানোর জন্য মাসাজ করাটাও পুরনো টোটকা, পিরিয়ডের ক্র্যাম্পও কমে এতে। পেট, পিঠ, কোমরে ল্যাভেন্ডার, রোজমেরি, ইউক্যালিপটাস বা পেপারমিন্ট অয়েল দিয়ে মাসাজ করলে জরায়ু আরাম পাবে। ক্র্যাম্পের ব্যথা বা পেটের পেশির খিঁচুনিও কমবে নিয়মিত মাসাজে।
03. চুমুক দিন ভেষজ চায়ে

আদা, ক্যামোমাইল, পেপারমিন্ট, দারচিনি দিয়ে তৈরি চা, ওলং বা গ্রিন টি পিরিয়ডের ক্র্যাম্প কমাতে সাহায্য করে। এ সব চায়ের মধ্যে প্রদাহ, ব্যথা আর পেশির খিঁচ কমানোর গুণ রয়েছে, যা আপনার জরায়ু আর পেশিগুলো শিথিল করে রক্ত সংবহন সহজ করে তোলে।
04. অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি খাবার খান

পিরিয়ড চলাকালে আমাদের আইসক্রিম, চকোলেট, চিজ, ভাজাভুজির মতো ভারী, তৈলাক্ত খাবার খেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু ব্যথা কমাতে চাইলে এ সব খাবারের বদলে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি খাবার খান। বেরি, আনারস, পেঁপে, কাঠবাদাম, আমন্ড, কুমড়োর বীজ, সবুজ শাকসবজি, তৈলাক্ত মাছ, আদা, টোম্যাটোর মধ্যে প্রদাহ কমানোর গুণ রয়েছে। এ সব খাবার শরীরে রক্ত সংবহন বাড়িয়ে তোলে, ক্র্যাম্পের ব্যথা কমায়। তাই পিরিয়ডের সময় বুঝেশুনে খাওয়াদাওয়া করুন।
05. হালকা ব্যায়াম করুন

পিরিয়ডের সময় সামান্য হাঁটাচলা করতেও অনেক সময় অসুবিধে হয়। কিন্তু অস্বস্তি কাটিয়ে হালকা ব্যায়াম করতে পারলে ব্যথা কমবে, পেশি শিথিল হবে। বেশি লাফালাফি, দৌড়ঝাঁপ, বা ভারী ওজন তোলার দরকার নেই। হালকা স্ট্রেচ করুন, যোগব্যায়াম করুন যাতে শরীর আর মন হালকা থাকে। তাতে রক্ত সংবহনও উন্নত হবে।
Written by Manisha Dasgupta on 20th Oct 2021