শুকনো ব্রাশিং

আপনার নিয়মিত ত্বক পরিচর্যার অঙ্গ করে তুলুন ড্রাই ব্রাশিংকে। ত্বক এক্সফোলিয়েট করা থেকে শুরু করে সেলুলাইট কমানো পর্যন্ত সব কিছুই করতে পারে ড্রাই ব্রাশিং। প্রাকৃতিক ব্রিসলস যুক্ত ব্রাশ ব্যবহার করুন। শরীরের নিচের অংশ থেকে ব্রাশ করতে শুরু করুন, ধীরে ধীরে উপরের দিকে উঠবেন। ব্রাশের স্ট্রোক একমুখী রাখবেন। অর্থাৎ উপরে নিচে ঘষবেন না, তাতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। খুব কোমল হাতে ব্রাশ চালান।
সিউইড

সামুদ্রিক শ্যাওলা বা সিউইডের গুণ বলে শেষ হবে না! অনলাইন স্টোর্স বা ডিপার্টমেন্ট স্টোর্সে সিউইড পাবেন। সিউইড খেলে বা স্নানের জলে দিয়ে সেই জলে স্নান করলে সেলুলাইট চোখে পড়ার মতো কমে যায়। কারণ শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সিউইড খুবই কার্যকরী, এবং প্রায় চুম্বকের মতো এটি শরীর থেকে টক্সিন টেনে বের করে দেয়! পাশাপাশি সিউইডে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন থাকে যা থাইরয়েড গ্রন্থি এবং হরমোন নিয়ন্ত্রণে রাখে। গবেষণা বলছে, শরীরে সেলুলাইট উৎপাদন হওয়ার পেছনে হরমোনের ভূমিকা রয়েছে, তাই থাইরয়েড সুস্থ থাকলে সেলুলাইটও কমবে।
কফি স্ক্রাব

সেলুলাইট কমানোর আর একটি অত্যন্ত কার্যকর ওষুধ হল কফি স্ক্রাব। ত্বক এক্সফোলিয়েট করার জন্য কফি স্ক্রাব ব্যবহার করলে তা রক্ত বা লসিকাগ্রন্থির প্রবাহ সঞ্চালিত করে এবং ত্বক টানটান মসৃণ করে তুলতে পারে। কফিগুঁড়োর সঙ্গে খানিকটা চিনি আর কয়েক টেবলচামচ নারকেল তেল যোগ করে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন, তারপর এই মিশ্রণটা দিয়ে সেলুলাইটের জায়গাগুলোয় ঘষুন। খুব তাড়াতাড়ি সুফল পাবেন।
নারকেল তেল

সেলুলাইটের হাত থেকে মুক্তি পেতে চাইলে নারকেল তেল ব্যবহার করে দেখতে পারেন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সেলুলাইট কমাতে জায়গাগুলোয় গরম নারকেল তেল মাসাজ করুন। নারকেল তেলের আর্দ্রতা ত্বক তুলতুলে কোমল করে তোলে, জুনিপার তেল টিস্যুর গভীরে উষ্ণতা ছড়িয়ে দিয়ে টক্সিন কমায়। ফলে ত্বক টানটান সতেজ হয়ে ওঠে।
জল

জলের চেয়ে বড় ওষুধ আর কিছুই নেই। প্রচুর পরিমাণে জল খান। জল খেলে রক্ত সংবহন উন্নত হয়, প্রদাহ কমে, ত্বকও মসৃণ হয়ে ওঠে। ত্বক থেকে সেলুলাইট কমাতে এগুলি খুবই দরকার। প্রতিদিন আট থেকে দশ গেলাস জল খান, ঝলমলে সুন্দর থাকবে।
Written by Manisha Dasgupta on 31st Jul 2020