গর্ভবতী হওয়ার পর মেয়েদের শরীরে অসংখ্য পরিবর্তন আসে। তার মধ্যে একটা হল, ওজন বেড়ে যাওয়া। আর ওজন বেড়ে এলে স্ট্রেচ মার্ক দেখা দেওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়। তবে চিন্তার কারণ নেই। সাবধানে থাকলে, যত্ন নিলে ত্বকে স্ট্রেচ মার্কের আনাগোনাও প্রতিহত করতে পারবেন আপনি।

শরীরের কোথায় কোথায় স্ট্রেচ মার্ক পড়ে?
স্ট্রেচ মার্ক কোথায় পড়ে এবং কেন পড়ে সেটা খুব সহজেই বোঝা সম্ভব: শরীরের যে সব জায়গায় ফ্যাট সবচেয়ে বেশি জমে, স্ট্রেচ মার্কও সেখানে সেখানেই দেখা দেয়। অর্থাৎ নিতম্ব, কোমর, উরু আর পেটেই স্ট্রেচ মার্ক দেখা যায়।
কখন স্ট্রেচ মার্ক পড়া শুরু হয়
স্ট্রেচ মার্ক এড়ানো যায় না, কিন্তু গর্ভাবস্থার অন্তত চারমাস থেকে পাঁচমাস না হলে স্ট্রেচ মার্ক পড়া শুরু হয় না। ফলে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এই সময়টা কিন্তু যথেষ্ট! আমরা দিয়ে দিচ্ছি কিছু টিপস।

প্রচুর জল খান
আপনারা সকলেই জানেন, শরীরে আর্দ্রতার মাত্রা ধরে রাখতে নির্দিষ্ট পরিমাণে জল খেতেই হবে। কিন্তু গর্ভাবস্থায় আপনার শরীর দ্রুত জলশূন্য হয়ে পড়ে, অর্থাৎ এ সময় আপনাকে আরও বেশি করে জল খেতে হবে। জল আপনার শরীর থেকে টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়, আর আপনার ত্বক করে তোলে নরম আর কোমল। হয়তো ব্লাডার সামলাতে বারবার বাথরুমে যেতে হবে, কিন্তু আখেরে আপনার ত্বকই স্ট্রেচ মার্কের খপ্পর থেকে বাঁচবে। কাজেই নির্দ্বিধায় বেশি করে জল খান।

গর্ভাবস্থায় অস্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন না
গর্ভাবস্থায় আপনি আসলে দু'জন মানুষের খাবার খান, তাই কথায় কথায় খিদে পাওয়া স্বাভাবিক! কিন্তু সেই খিদে পাওয়াকে গাদা গাদা জাঙ্ক ফুড খাওয়ার অজুহাত বলে ধরে নেবেন না। খিদে মেটাতে বাটি ভরে টাটকা ফল খান, কি একটুকরো চিজ খান। জাঙ্ক ফুড আপনাকে অস্বাস্থ্যকর বাড়তি ওজন ছাড়া আর কিছু দেবে না। আর অতিরিক্ত বাড়তি ওজন হলে স্ট্রেচ মার্ক নিয়ে মুশকিলে পড়তে হবে।

সঙ্গী করে নিন ময়শ্চারাইজারকে
গর্ভাবস্থায় আপনার ত্বক তার স্বাভাবিক তেল হারিয়ে ফেলে, ফলে ত্বকের রুক্ষতা কমাতে সেই তেলের অভাব পূরণ করা খুব জরুরি। ময়শ্চারাইজার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। স্ট্রেচ মার্কের ওপর ভিটামিন ই মাসাজ করতে পারেন, তাতে দাগ অনেক কমে যাবে।
Written by Manisha Dasgupta on 29th Jul 2020